এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একুশের মহাযুদ্ধে শ্রমিক ভোট কাড়তে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের? হেভিওয়েট নেত্রীর বৈঠক নিয়ে চর্চা!

একুশের মহাযুদ্ধে শ্রমিক ভোট কাড়তে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের? হেভিওয়েট নেত্রীর বৈঠক নিয়ে চর্চা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ততটা সহজ সহজ হবে না, সেকথা শাসকদলের অনেকেই ইতিমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিম বাংলার আপামর জনগণকে নিজেদের কাছে টানতে একাধিক প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে শাসক দলের মধ্যে। সেই এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন হল, নির্বাচনের আগে শ্রমিকদের কাছে টানা। আর শ্রমিকদের কাছে টানতেই চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে, সরব হতে চলেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় আলিপুরদুয়ার জংশন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি জরুরী বৈঠক করলেন আইএনটিটিইউসির সভানেত্রী দোলা সেন। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকের পরে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সরব হতে চলেছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতৃবৃন্দ। এ প্রসঙ্গে সভানেত্রী দোলা সেন জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সমস্ত নিয়ম- বিধি মান্য করেই তাঁরা চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করবেন। প্রসঙ্গত, অন্যান্য শিল্পের মত চা শিল্পের ক্ষেত্রেও তাঁরা ন্যূনতম মজুরি চালু করার পক্ষপাতী।

সম্প্রতি চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা দৈনিক ১৭৬ টাকা করে মজুরি পেয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানের বর্ধিত বাজার দরে চা শ্রমিকদের মজুরি কতটা সমীচীন, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবিতে বক্তব্য রেখেছেন বিরোধীরা। এমনকি চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন ইতিমধ্যেই করা হয়ে গেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। এই ব্যাপারটি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট উদ্বিগ্ন উদ্বিগ্ন তা বলাই বাহুল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ মনে করেন, চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে গত লোকসভা ভোটে চা বাগান অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির জয় লাভের পথ অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও আলিপুরদুয়ার চা বলয়ে বিজেপি নিজেদের শক্তি যথেষ্ট বাড়িয়ে নিয়েছে, যে বিষয়টি কপালে ভাঁজ ফেলেছে শাসকদলের নেতাদের।

গতকাল সোমবার আলিপুরদুয়ার জংশনে তৃণমূলের শ্রমিক সাগঠন আইএনটিটিইউসির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মানিক দের বাসস্থানে আহুত বিশেষ বৈঠকে, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সরব হলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত, তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি নকুল সোনার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন, “রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর চা শ্রমিকদের আর মজুরি বাড়েনি। ফলে চা শ্রমিকেরা বর্তমান বাজারের পরিস্থিতির তুলনায় যথেষ্ট কম মজুরি পাচ্ছেন। তাই চা শ্রমিকদের মজুরি দ্রুত বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংগঠনের শীর্ষ নেত্রীকে এ দিন বলা হয়।”

অন্যদিকে এই বৈঠকে আইএনটিটিইউসির সভানেত্রী দোলা সেন জানিয়েছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোনও দাবি ছাড়া বিভিন্ন দফায় চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হয়। নিয়ম মেনে আরও মজুরি বৃদ্ধি হবে। সেইসঙ্গে ৬৩টি ক্ষেত্রে ন্যূনতম মজুরি চালু হয়। চা সমেত যে ক্ষেত্রগুলো ওই ৬৩টির মধ্যে নেই, সেগুলিতেও ধাপে ধাপে ন্যুনতম মজুরি চালু হবে।’’

অন্যদিকে তৃণমূল দলের ভেতরেই গুঞ্জন উঠেছে যে, আলিপুরদুয়ার চা বলয়ে শাসকদলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ারের নেতাদের মধ্যে উৎসুক্যের কেমন যেন একটা অভাব দেখা নিচ্ছে। চা বলয়ে তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় নেতাদের। নেতাদের এই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, প্রতি সপ্তায় নেতারা যেন নিয়মিত চা বাগান গুলি পরিদর্শন করেন ও সেইসঙ্গে চা বাগানের শ্রমিকদের সমস্যার কথা শোনেন, তারপর সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বকে অবগত করেন। তবে, সোমবারের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক সম্পর্কে সভানেত্রী দোলা সেন অবশ্য জানিয়েছেন, ” দুই জেলা নিয়ে এটা একটা ঘরোয়া বৈঠক।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!