এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের মহাযুদ্ধের মহা স্লোগান পেয়ে গেল বিজেপি? তৃণমূলকে কুপোকাত করতে শাহ খুঁজে পেলেন ভরসা?

একুশের মহাযুদ্ধের মহা স্লোগান পেয়ে গেল বিজেপি? তৃণমূলকে কুপোকাত করতে শাহ খুঁজে পেলেন ভরসা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের রণদামামা ইতিমধ্যেই বেজে গেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ রাজ্যে এসে বাংলা বিজেপি নেতাদের রীতিমতো দুশো আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী গেরুয়া শিবিরের স্লোগান তৈরি। একুশের মহাযুদ্ধে নামতে তাই অমিত শাহের তৈরি নতুন স্লোগান বাংলার বিজেপির গলায় উঠে এসেছে। আর তা হল ‘আব কি বার 200 পার’। আর এই মন্ত্রেই এবার তৃণমূলকে ধরাশায়ী করার দিকে একটু একটু করে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির।

লোকসভা নির্বাচনের আগেও অমিত শাহ বাংলায় এসে স্লোগান তুলেছিলেন ‘আব কি বার 300 পার’। সেই অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল কী হয়েছিল তা সবার জানা। অন্যদিকে গত মাসে রাজ্যে এসে অমিত শাহ যে 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতাদের তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কিসের জোরে এই আসন জেতার পরিকল্পনা? আর সেক্ষেত্রে বিজেপি জোর দিচ্ছে সাইলেন্ট ভোটারদের ওপর। সাইলেন্ট ভোটার হলো এমন, যারা কাকে ভোট দেবেন তা জনসমক্ষে কোনমতেই প্রকাশ করেন না।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরেও এই সাইলেন্ট ভোটারদের নিয়ে যথেষ্ট চর্চা হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। এমনকি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিবৃতি দেওয়ার সময় সাইলেন্ট ভোটারদের ধন্যবাদও দিয়েছিলেন। বিহারের ক্ষেত্রে সেখানকার মহিলাদের সাইলেন্ট ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অবশ্য ক্ষেত্রবিশেষে তা পাল্টেও যেতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। বিহারের মতোই বাংলাতেও যে সাইলেন্ট ভোটাররাই বিজেপিকে ভোটের বৈতরণী পার করতে অন্যতম সাহায্যকারী হয়ে উঠবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিজেপি নেতারা।

তবে ভেতরের খবর হলো বাংলায় দুশো আসনের ওপর অমিত শাহের জোর দেওয়ার কারণ হলো বিজেপির করা জনসমীক্ষা। অমিত শাহের সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান বর্তমান রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও একই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপি দু’শোর বেশি আসন পাবে। বরাবর দেখা গেছে বিজেপি সব সময় ভোট মুখী রাজ্যগুলিতে নিজেদের পক্ষ থেকে নিজস্ব জনসমীক্ষা করায়। উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এই ধারা চলে আসছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনসহ 2019 এর লোকসভা নির্বাচনেও দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালিয়েছিল। যথারীতি বাংলার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বাংলায় দুটি সংস্থাকে দিয়ে জনসমীক্ষার কাজ করানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ে গিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, দুটি রিপোর্টেই বলা হয়েছে এই রাজ্যে বিজেপি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 40% এর বেশি ভোট পেতে চলেছে। এবং তাঁদের আসনসংখ্যা 165 থেকে 175 এর মধ্যেই থাকবে।

আর এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় নেতারাও বাংলাকে নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাংলায় বিধানসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই। জানা যাচ্ছে, রাজ্য নেতাদের তিনি বিজেপির ভোট বাড়িয়ে 44% এর কাছাকাছি করতেই হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেক্ষেত্রে সাইলেন্ট ভোটারদের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। বাংলায় জিততে গেলে সাইলেন্ট ভোটারদের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে বলে মনে করেন অমিত শাহ।

ইতিমধ্যে তিনি রাজ্য সফরে এসে রাজ্য দলের নেতাকর্মীদের বুঝিয়েছেনও সে কথা বলে জানা গেছে। নির্বাচনের ময়দানে যদি সব ভয় জয় করেই টিকে থাকা যায় তাহলেই দুশো আসন পাওয়া সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বিজেপির নিজস্ব সমীক্ষায় ধরা পড়েছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট শতাংশ থাকবে 38% এবং তাঁদের আসন সংখ্যা সীমিত থাকবে 95 থেকে 105 এর মধ্যে। পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস জোট পাবে 12% ভোট এবং তাঁদের আসন সংখ্যা হবে 15 থেকে 22 টি।

এবং অন্যান্যরা 7% এর কাছাকাছি ভোট পেয়ে 5-7 টি আসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যথারীতি এই জনসমীক্ষা বাংলায় বিজেপির লড়াইকে অতিরিক্ত অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে 200 টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখে বিজেপি যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপিকে মাত দেওয়ার জন্য এবং বাংলার মসনদ ধরে রাখার জন্য তৃণমূল কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেদিকে কিন্তু লক্ষ্য রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। যদিও এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর শাসকদলের শোচনীয় অবস্থার সুযোগ যে বিরোধী শিবির হিসেবে পরিচিত বিজেপি পুরোপুরি নেবে সে ব্যাপারে 100% নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!