এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের নির্বাচনের আগে বড়সড় পরিবর্তন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলায়, জল্পনা তুঙ্গে

একুশের নির্বাচনের আগে বড়সড় পরিবর্তন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলায়, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই জোর সরগরম রাজ্য রাজনীতিতে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বরাবর শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা। তাই এবার বিরোধীদের কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রাজ্য পুলিশের বড়সড় রদবদল করা হলো। পাশাপাশি জানা গেছে, শুধুমাত্র  কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলাতেই শুধু বদল আনা হচ্ছেনা, পাশাপাশি বিধাননগর, হাওড়া এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকেও কিছুদিনের মধ্যেই বদল করা হবে। আগেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কিন্তু কড়া মতামত রাখা হয়েছিল।

মনে করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কথার দিকে নজর দিয়েই এই পরিবর্তন হচ্ছে। সূত্রের খবর, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে আসছেন অনুজ শর্মার জায়গায় সৌমেন মিত্র। রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদে আসছেন জাভেদ শামীম। অন্যদিকে অনুজ শর্মাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিআইডিতে। তিনি বসতে চলেছেন এডিজি সিআইডি পদে। সম্প্রতি রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতেও পুলিশের শীর্ষ পদে একাধিক পরিবর্তন হয়েছিল। বীরভূম ও পুরুলিয়া পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার ছিলেন সেলভা মুরুগান। তার বদলে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার হয়ে এসেছেন বিশ্বজিৎ মাহাতো। সেলভা মুরুগানকে সিআইডিতে বদলি করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং এর পরিবর্তে সেই পদে এসেছেন কলকাতার ডিসি (সেন্ট্রাল) মিরাজ খালিদ। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও এই নির্বাচন কমিশন শ্যাম সিংকে সরিয়ে দিয়েছিল। তাই নির্বাচন কমিশনের আগেই এবার তড়িঘড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এমনকি চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌরব শর্মাকে। যদিও হুমায়ুন কবীর এর পর নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৎকালীন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। তার জায়গায় আনা হয়েছিল সৌমেন মিত্রকে।

সেসময় রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল বিরোধীরা। যদিও নির্বাচনের পর আবার রাজীব কুমারকেই কমিশনার পদে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এবার আগেভাগেই রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়ে নিয়ে আসা হলো সৌমেন মিত্রকেই। সব মিলিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিভাগে এই ব্যাপক রদবদল একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচন কমিশন কিছু বলার আগেই যেভাবে রাজ্য সরকার অগ্রণী পদক্ষেপ গ্রহণ করল, তা বিরোধীদের মুখ অচিরেই বন্ধ করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন নিয়ে এখনো পর্যন্ত কমিশন বা বিরোধী শিবির কারোর কাছ থেকেই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!