এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > একুশের নির্বাচনে তথাগতের ভূমিকা ঠিক কি হতে চলেছে স্পষ্ট করে দিলেন মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট

একুশের নির্বাচনে তথাগতের ভূমিকা ঠিক কি হতে চলেছে স্পষ্ট করে দিলেন মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বহু আগে থেকেই গেরুয়া শিবির সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলায়। এই মুহূর্তে তাঁদের লক্ষ্য, বিধানসভার মসনদ দখল করা। আর সেই উদ্দেশ্যে গেরুয়া শিবিরে চলছে সাংগঠনিক জোর বাড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ।

যদিও তৃণমূল শিবিরে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরের মতো সামনে থাকলেও এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরে সেভাবে কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল আলোচনা। এই অবস্থায় উল্লেখযোগ্যভাবে তথাগত রায় মেঘালয় ছেড়ে আবার বাংলায় পা দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিজেপির অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত।

অন্যদিকে তৃণমূলও পিছিয়ে নেই। একুশের বিধানসভা মসনদে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে ব্যাপকহারে সাংগঠনিক পরিবর্তন হয়েছে তাঁদের। এই সবকিছু নিয়েই এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। দীর্ঘদিন ধরেই স্বপন দাশগুপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছের লোক বলে পরিচিত। এদিন তিনি তথাগত রায়কে বড় এবং শ্রদ্ধেয় নেতা হিসাবে উদ্ধৃত করে জানান, তথাগত রায় এবার থেকে বিজেপির বড় প্রচারে অংশ নেবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তথাগত রায় বিজেপি শিবিরে সক্রিয় হয়েছেন বর্তমানে তার কারণ তিনি বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।

আর এ প্রসঙ্গে স্বপন দাশগুপ্ত এদিন জানিয়ে দিলেন, সাধারণত বিজেপি কোন একটি মুখ সামনে রেখে নির্বাচনে কোনদিনই এগোন যায়না। অন্যদিকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে স্বপন দাশগুপ্ত এদিন বলেন, মাওবাদী ও তৃণমূলের যে গোপন সমঝোতা ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেছে সম্প্রতি ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে যোগদানের মধ্যে দিয়ে। প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলের মধ্য দিয়ে গেরুয়া শিবির ঘাঁটি গেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখান থেকে তৃণমূলকে রীতিমতো ধূলিসাৎ হতে দেখা গেছে সেখানে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত এদিন জানান, জঙ্গলমহলের 10 টি আসন জেতার জন্য তৃণমূল-মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করে দেশের সুরক্ষা এবং অখন্ডতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্য-কেন্দ্রর আবার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা নিয়ে। ইতিমধ্যে বিরোধীরা এই নিয়ে একটি ভার্চুয়াল মিটিংও করে নিয়েছে। অন্যদিকে স্বপন দাশগুপ্ত এই ব্যাপারে জানান, 10 দিন 15 দিন কিংবা একমাস পরীক্ষা পিছলেও তার জন্য কখনোই বছর নষ্ট করা যায়না।

এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব সর্বাগ্রে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বপন দাশগুপ্ত এদিন ঠারেঠোরে তথাগত রায়কে বুঝিয়ে দিলেন গেরুয়া শিবিরে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হয়ে ওঠা এতটা সহজ নয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে শেষ কথা বলবে সেকথা পরিষ্কার। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরের মারাত্মক টক্কর হতে চলেছে বাংলার রাজনীতিতে। আর এই মুহূর্তে তাই নিয়ে চলছে চাপানউতোর প্রতিনিয়ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!