এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একুশের যুদ্ধে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর রাজবংশী ভোটই! সংগঠনে বড়সড় রদবদল করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল!

একুশের যুদ্ধে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর রাজবংশী ভোটই! সংগঠনে বড়সড় রদবদল করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় দেখা যায়, অভাবনীয়ভাবে উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূল শিবির পুরোপুরি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে। এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে খোঁজ মেলে লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের পুরো ভোট নিয়েছিল বিজেপির দিকে। লোকসভা নির্বাচনে জিতে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ হন রাজবংশী সম্প্রদায়ের নিশীথ প্রামাণিক। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর খুব একটা দেরি নেই। সেই সূত্রে দেখা যাচ্ছে, এবার বাংলার শাসক দল তৃণমূল উত্তরবঙ্গের কর্তৃত্ব ফিরে পেতে শুরু করেছে বিভিন্ন কৌশল।

তৃণমূল শিবিরের অনেকের বক্তব্য, রাজবংশী ভোটের যদি বড় অংশ এবার তৃণমূলের দিকে আসে তাহলে হয়তো লোকসভা নির্বাচনের ছবি পাল্টে যেতে পারে। অন্যদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকার সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দলের বিনয় কৃষ্ণ বর্মনের ওপর। কিন্তু এক বছরের মাথায় জেলা সংগঠনে বড়োসড়ো পরিবর্তন হয়। বর্তমানে তৃণমূল শিবিরের ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল সূত্রে কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি হয়েছেন প্রাক্তন এমপি পার্থপ্রতিম রায়।

জানা যাচ্ছে, কোচবিহারে এই মুহূর্তে প্রায় 46 শতাংশ রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভোট বর্তমান। আর এই ভোট নিয়েই দড়ি টানাটানি চলছে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভোট একটি বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরেই পার্থবাবু রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে জেলার প্রতিটি পার্টি অফিস পরিদর্শন করতে শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এদিন জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ চিন্তাভাবনা করছেন তবে শুধুমাত্র রাজবংশী ভোট নয়, তৃণমূল নেত্রী যে সার্বিকভাবে সবাইকে নিয়েই আগামী দিনের রাজনৈতিক যুদ্ধ জয়ের পথে এগিয়ে যেতে চান, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে কিন্তু উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন কাজ হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

যেমন কোচবিহার জেলায় পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনসহ একাধিক কাজ হয়েছে, সেরকমই অন্যদিকে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা তৈরি হয়েছে, রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এত কিছু করেও তৃণমূল শিবির যে উত্তরবঙ্গের মন পায়নি, তা কিন্তু ঊনিশের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর সে জাগায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার তৃণমূল শিবির আরো একবার উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

উত্তরবঙ্গের জেলা জুড়ে 30% সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে আর এই সংখ্যালঘু ভোটের সঙ্গে যদি রাজবংশী ভোটের একটি বড় অংশ তৃণমূলের ভোটবাক্সে পড়ে, তাহলে উত্তরবঙ্গ জয়ের পথে আর কোনো বাধা থাকবে না তৃণমূলের বলে দাবী করা হচ্ছে তৃণমূল শিবির থেকে। তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গেরুয়া শিবির যেভাবে উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভোট টেনে নিয়েছে, তা ফিরে পেতে কিন্তু তৃণমূল শিবিরকে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য চেষ্টা চালাতে হবে। আপাতত উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধার প্রজেক্ট নিয়ে রীতিমতো তৎপরতার সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে তৃণমূল শিবির বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!