এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের যুদ্ধের দামামা বাজার আগেই তৃণমূলের হেভিওয়েটদের কাছে বড় হার বিজেপির? সামনে এল বড় তথ্য

একুশের যুদ্ধের দামামা বাজার আগেই তৃণমূলের হেভিওয়েটদের কাছে বড় হার বিজেপির? সামনে এল বড় তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান যুগে রাজনৈতিক আবহে পালে হাওয়া টানতে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা বেছে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে। অনেক সময় দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট ঘিরেই ধুন্ধুমার বেঁধে যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে বাদ দিয়ে এই মুহূর্তে কেউই এগিয়ে যাবার কথা ভাবতে পারেন না। এ রাজ্যেও দলমত নির্বিশেষে প্রায় সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে নিয়েছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে জনপ্রিয়তার মানদণ্ড সে ক্ষেত্রে বিচার করে কার কতটা পাল্লা ভারী। রাজ্যের মুখ্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এ নিয়ে যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হবে সে কথা বলাই বাহুল্য। এমনিতেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার চালাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নিয়েছে রাজ্য বিজেপি শিবির। ইতিমধ্যে তাঁদের পক্ষ থেকে একের পর এক ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে জনসংযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির থেকে কিন্তু তৃণমূল শিবির অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার নিরিখে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষের এমপিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পিছিয়ে পড়ার খবরে যে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বে সে কথাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এর মত, তৃণমূল শিবির টাকা ঢেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে মেকী ফলোয়ার তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ এদিন আরো জানান, মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করার পক্ষপাতী গেরুয়া শিবির। আর সে কারণেই জনপ্রিয়তার নিরিখে রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রধান দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, তৃণমূলের সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে দলীয় এমপিদের বলে অনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম এমপি মালা রায় জানাচ্ছেন, যেভাবে রাজ্যের দুঃসময়ে মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সমস্ত এমপিরা থাকে তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে তৃণমূল এমপিদের, এবং সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিফলিত হয়েছে।

এরপর মালা রায় আরো দাবি করেন, আগামী দিনে পুরসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আরো শক্তিশালী হবে তৃণমূল শিবির। আপাতত দেখে নেওয়া যাক বিজেপি এবং তৃণমূলের জনপ্রিয়তার নিরিখে কে কোথায় অবস্থান করছেন। যদি ফেসবুক পেজের কথা ধরা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির 18 জন এমপি এবং তাঁদের প্রত্যেকেই ফেসবুক পেজ ব্যবহার করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের বর্তমান এমপির সংখ্যা 22 জন। কিন্তু তাদের মধ্যে আবার পাঁচজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টই নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতেই, বর্তমানে সাধারণ মানুষ ফেসবুকের রাজনৈতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বাড়িয়ে তোলেন। আর তার উপরেই নির্ভর করে নেতা নেত্রীদের জনপ্রিয়তা। সূত্রের খবর, বিজেপি এমপিরা পছন্দের তালিকায় রয়েছেন মাত্র 17 লক্ষ 15 হাজার মানুষের। অন্যদিকে তৃণমূলের 17 জন সাংসদের পেজে লাইকের পরিমাণ শুধু দু কোটি চব্বিশ লাখ। যাদের মধ্যে তৃণমূলের তারকা এমপি নুসরত জাহানের নাম করতেই হবে। তাঁর ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা এক কোটি সাত হাজার ছুঁয়েছে।

অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইকের সংখ্যা মাত্র দু লক্ষ আটান্ন হাজার। ফেসবুকের তালিকায় রয়েছেন লোকসভার বিরোধী নেতা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। যার জনপ্রিয়তা দেখলে রীতিমত ঈর্ষান্বিত হবেন অনেকেই। ফেসবুকের পরেই আরেক জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সোশ্যাল মিডিয়া হলো টুইটার। জানা গেছে বিজেপির সমস্ত এমপিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই মুহুর্তে। এদিকে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন এমপির টুইটার অ্যাকাউন্টই নেই।

অন্যদিকে 2014 সালের পর দুজন তৃণমূল এমপি এমন আছেন, যারা টুইটার ব্যবহার করেন না। অর্থাৎ সর্বসাকুল্যে তৃণমূলের 13 জন এমপি টুইটারে সক্রিয় রয়েছেন এই মুহূর্তে। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই 13 জন এমপির টুইটার ফলো করেন প্রায় 30 লক্ষ 75 হাজার মানুষ। সেখানে বিজেপির 18 জন এমপির ফলোয়ার সংখ্যা মাত্র 6 লক্ষ 45 হাজার। অন্যদিকে তৃণমূলের তারকা এমপি দেবের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা 10 লক্ষ 24 হাজার।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে, সেখানে শাসক দলের কাছে এহেন পিছিয়ে পড়া বিজেপি শিবিরের কপালে অবশ্যই চিন্তার ভাঁজ ফেলবে। রাজনৈতিক মহলের অনেকাংশের মত, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো ছাড়া গতি নেই। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, এই ভাবে পিছিয়ে পড়া পরবর্তীতে গেরুয়া শিবিরকে কোন বড় বিপদে ফেলবে না তো? তবে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে গেলে অপেক্ষা আরও কিছুদিনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!