প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের আবহ কালে আদৌ সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তবে করোনা ভাইরাস থাকলেও ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন বিহার বিধানসভার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। জানা গেছে, আগামী 28 অক্টোবর থেকে তিন দফায় নির্বাচন হবে। যার ফলাফল 10 নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের প্রচার করবে, তা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাংশ বলছেন, যে কোনো নির্বাচনে প্রচার পর্ব সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে করোনা আবহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কিভাবে প্রচার করবে, তা অবশ্যই দেখার বিষয়।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রচারের একমাত্র মাধ্যম বলতে সোশ্যাল মিডিয়া। তার উপর ভর করেই প্রচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। তবে এই গোটা পদ্ধতি নিয়ে বিরোধীরা চিন্তায় পড়লেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা গেছে, বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে। সেদিক থেকে ডিজিটাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বের তরফে নিচুতলার কর্মীদের প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

বিজেপির সমস্ত নেতারা বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর নির্ভর করেই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে। ম্যাসেজের মাধ্যমে কিভাবে প্রচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে, তার বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে বলে খবর। অর্থাৎ বিরোধীরা এই প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তায় পড়লেও, বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অনেকটাই এগিয়ে এবং তারা যে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের প্রচার শুরু করে দিয়েছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে ফেসবুক বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার করে সাড়া ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হলেও, তা নিয়ে বিরোধীরা তাদেরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, দেশে যখন রেকর্ড হারে বেকারত্ব বাড়ছে, তখন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে নিয়োগ চলছে। অর্থাৎ বিরোধীরা বিজেপির প্রচার রুখতে এই সমস্ত মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে আক্রমণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্বভাবতই এখন করোনা আবহের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে প্রচার মুখ্য ভূমিকা নিতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই প্রচারে বিজেপি যে অনেকটাই এগিয়ে, সেই ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে গেছে সকলের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা করোনা আবহকে সামলে নিয়ে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারকে কতটা আটকে দিতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।