এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শিয়রে নির্বাচন, হচ্ছে না কাজ, রাগে অগ্নিশর্মা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

শিয়রে নির্বাচন, হচ্ছে না কাজ, রাগে অগ্নিশর্মা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন বিষয়ে খুবই উদ্যোমী মনোভাব গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারী বিভিন্ন দফতরের কাজে তিনি অতি দ্রুত ফলাফল চাইছেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চাইলেও সরকারী কাজে টাল বাহানার চিরাচরিত অভ্যাসে অভ্যস্ত কর্মচারীরা তাঁর নির্দেশিত মার্গ অনুসরণে সফল হতে পারছেন না। এই অবস্থায় স্বভাবতই ক্ষিপ্ত প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি শীর্ষ আমলাদের বললেন, ”কত দিন আর এমন চলবে? সব ফাইলে সবাইকে সিলমোহর বসাতে হবে কেন? আমাদের অভ্যাস বদলাতে পারে না? ” শুধু তাই নয় প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র, ক্যাবিনেট সচিব পি কে সিন্‌হার সামনেই নরেন্দ্র মোদী অসন্তোষ ব্যক্ত করে বলেছেন, ”সত্যি-মিথ্যা জানি না, হিন্দু পুরাণে বলে চারধাম যাত্রা করলে মোক্ষলাভ হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু সরকারি ফাইলের ৩২ যাত্রাতেও মোক্ষলাভ হয় না। কোনও সরল পথ বার করা যায় না?”  উল্লেখ্য মাত্র ৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী ‘ন্যূনতম সরকার, সর্বাধিক প্রশাসন’-এর স্লোগান দিতেন। আত্ম প্রশংসায় বিভোর প্রধানমন্ত্রী বলতেন প্রচলিত একই ফাইল, একই আমলা, একই সরকারীতন্ত্র এই জনশ্রুতি থেকে বেরিয়ে বিজেপি শাসিত সরকার এবং প্রশাসন কত দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে সরকারী কাজকর্ম সম্পাদন করছেন। যা এ আগে অবধি কোনো সরকারই করে দেখাতে অসমর্থ হয়েছেন। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে স্বভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী বহুল প্রচলিত জনশ্রুতির ছাপ নিজের সরকার এবং সরকারী পরিকাঠামোর মধ্যে ফিরে পেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, পূর্বোল্লিখিত জনশ্রুতির দোহাই দিয়ে তা নিবারণ করার প্রতিশ্রুতি জানিয়েই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি শাসিত মোদী সরকার। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করলেন,””আসলে ২০১৪ সালে মিথ্যা প্রচার করে মোদী ক্ষমতায় এসেছিলেন। বুক বাজিয়ে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির জোর দেখিয়েছিলেন। এখন পাকিস্তান-চিন সঙ্কট মেটাতেও সেই ছাতির জোর দেখা যাচ্ছে না, সরকারের ভিতরেও যে তাঁর কোনও দখল নেই, সেটাও স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর কথায় তাঁর অসহায়তাই প্রকট।” রাতারাতি এমন পরিস্থিতি তৈরী হলো কেন ও স্বাভাবিক নিয়মে এই প্রশ্ন মানুষের মনে দেখা দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে ব্যাঙ্ক থেকে প্রতিরক্ষা, মোদী সরকারের রাজত্বে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অতর্কিতে কোনো আমলার দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে আসে এই ভয়ে সরকারী ফাইল এগোচ্ছেনা। থেমে রয়েছে উন্নয়নের অনেক কাজ। এদিনে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসা নিশ্চিত করতে  প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, কেন্দ্রের প্রতিটি মন্ত্রকের অধীনে বিভাগ ধরে ধরে পর্যালোচনা করতে, কারা প্রকৃত অর্থে ‘ন্যূনতম সরকার, সর্বাধিক প্রশাসন’-এর সূত্র ভাল করে পালন করছে, কারা প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকে সরল করছে তা খতিয়ে দেখতে। প্রধানমন্ত্রীর মতে এই ভাবে কর্মীদের নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন না করলে সারা বিশ্বের নিরিখে ভারতের অবস্থান খুব নিম্ন স্তরে চলে যাবে এবং উন্নয়নের ধারা অবরুদ্ধ হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!