এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনের আগে জোড়া ধাক্কায় বেসামাল গেরুয়া শিবির, পাল্টা দিতে নতুন রণকৌশলের খোঁজ

নির্বাচনের আগে জোড়া ধাক্কায় বেসামাল গেরুয়া শিবির, পাল্টা দিতে নতুন রণকৌশলের খোঁজ

 

কিছুদিন পরেই ঝাড়খন্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তার ঠিক আগেই সময়টা যেন খুবই খারাপ যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। জানা গেছে, আগামী 30 নভেম্বর ঝাড়খন্ড বিধানসভার নির্বাচন শুরু হচ্ছে। পাঁচ দফার সেই নির্বাচন সমাপ্ত হবে আগামী 20 ডিসেম্বর।

ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের রণনীতি সাজাতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে একদিকে লোক জনশক্তি পার্টির পক্ষ থেকে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা, আর অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের বিজেপি ছাড়া, এই দু্ই ঘটনা প্রবল চাপে রাখছে বিজেপিকে।

সূত্রের খবর, এবার বিজেপি ত্যাগ করতে দেখা গেল ঝাড়খণ্ডের বিজেপির চিফ হুইপ রাধাকৃষ্ণ কিশোর এবং বৈদ্যনাথ রামকে। জানা যায়, এই রাধাকৃষ্ণ কিশোর চিফ হুইপের পদ যেমন সামলেছিলেন, ঠিক তেমনই তিনি ঝাড়খণ্ডের ছত্তরপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। এদিন তিনি বিজেপি ছেড়ে অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিজেপি ত্যাগী আরেক নেতা বৈদ্যনাথ ধাম এদিন যোগ দেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায়। আর নির্বাচনের মুখে দলের দুই হেভিওয়েট নেতার এই দলত্যাগ এখন চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে একের পর এক দলবদল যখন বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছে, ঠিক তখনই লোক জনশক্তি পার্টির সিদ্ধান্ত তাদের আরও চাপে রাখতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের 81 টি আসনের মধ্যে 50 টি আসনেই তারা এককভাবে লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের 50 টি আসনে প্রার্থী থাকবে এলজেপির। এই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই 52 জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে 29 টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে বাকি রয়েছে। ফলে এই 29 টি আসনের মধ্যে যদি তারা দুই, একটি লোক জনশক্তি পার্টিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে তা লোক জনশক্তি পার্টি কখনই গ্রহণ করবে না।

অন্যদিকে বিজেপি যে এই 29 টির মধ্যে সবকটিই লোক জনশক্তি পার্টিকে ছেড়ে দেবে, এমনটাও নয়। তাই সেদিক থেকে এই দুই দলের মধ্যে সন্ধি হওয়ার আর কোনো প্রশ্ন নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই একদিকে দল ছাড়ার হিড়িক, আর অন্যদিকে লোক জনশক্তি পার্টির বিজেপি থেকে বিচ্যুত হয়ে পৃথকভাবে লড়াই, এখন গেরুয়া শিবিরকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!