এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনে বাজিমাত করতে ক্লাবগুলিকে “কব্জা” করতে তৃণমূল নেতাদের নতুন উদ্যোগ নিয়ে জল্পনা!

নির্বাচনে বাজিমাত করতে ক্লাবগুলিকে “কব্জা” করতে তৃণমূল নেতাদের নতুন উদ্যোগ নিয়ে জল্পনা!

 

বাংলার রাজনীতি বরাবরই ক্লাব কেন্দ্রিক। যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন তার দিকেই বিভিন্ন ক্লাবগুলো ঘেষতে শুরু করে। বিরোধীদের দাবি, এই ক্লাবের ছেলেপেলেদের সমর্থন পাওয়ার জন্যই তাদের আর্থিক অনুদান দেয় তৃণমূল সরকার। যদিও বা তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।

তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে সারা রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে, তাতে এখন সেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক আরও ঝালিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। বস্তুত, লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থান হওয়ার পর এবার সারা রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবির চেষ্টা করেছিল, বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপূজোকে নিজেদের বাগে আনার। সেই মত বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁদের।

কিন্তু এবার সামনে পুরো নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেই ক্লাবে ক্লাবে নিজেদের বিস্তার বাড়াতে বিজয়া শেষ হওয়ার পরই এলাকার ক্লাবগুলোতে মিষ্টি বিতরনে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। বস্তুত, আগামী বছরই শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন। আর তার আগে তৃণমূলের কাউন্সিলর থেকে দলীয় পদাধিকারী প্রায় প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন ক্লাবগুলোর মধ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন দেখা যায়, পৌরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল, যিনি একাধিক কালী পুজো কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্কুটার নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করে মিষ্টি বিলি করছেন। হঠাৎ এই উদ্যোগ কেন! তাহলে কি সামনের পুর নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ক্লাবের সদস্যদের ভোট পেতে এই কর্মসূচি!

এদিন এই প্রসঙ্গে নান্টু পাল বলেন, “বিভিন্ন ক্লাব এবং ক্রীড়া জগতের সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক করতেই বিজয়া সম্মিলনী করছি।” একইভাবে শিলিগুড়ির শক্তিগড়, শান্তিনগর, পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লির মত বিভিন্ন পুজো কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা শিলিগুড়ি টাউন 3 কমিটির সভাপতি দুলাল দত্তকেও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করতে দেখা গেছে।

এদিন এর কারণ হিসেবে দুলালবাবু বলেন, “সারা বছর এলাকাবাসীর সঙ্গে থাকি। তাই সকলের আবদার মেনে বিজয় উপলক্ষে মিষ্টিমুখ করাচ্ছি।” তবে পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূল নেতৃত্বদের ময়দানে নেমে বিজয়া সম্মিলনীর অঙ্গ হিসেবে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং মিষ্টিমুখ করানোকে রাজনৈতিক কারণ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা শিলিগুড়ি পৌরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা সব সময় ক্লাবগুলোর সঙ্গে থাকি, আগামীতেও থাকব। শুক্রবার আমি নিজে মাটিগাড়া এবং বাগডোগরায় দলীয় মিটিং করার পর স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মী এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী করেছি। তাই এই ব্যাপারে কে কি বলছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।”

তবে রঞ্জনবাবু মাথা না ঘামালেও গোটা ব্যাপারটি যে আগামী নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সেই বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন সকলেই। আর তাই এতকিছু করার পর নির্বাচনে তৃণমূল সাফল্য লাভ করতে পারে কিনা, তা নিয়ে মাথা ঘামতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!