এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে করোনা আবহেও ভোটের প্রোচারে মুখ্যমন্ত্রী! ক্ষুব্ধ পিকে, বাড়ছে জল্পনা

নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে করোনা আবহেও ভোটের প্রোচারে মুখ্যমন্ত্রী! ক্ষুব্ধ পিকে, বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারের কৌশলকে কটাক্ষ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের তীব্র নিন্দা করলেন তাঁর‌ই প্রাক্তন সহযোগী প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর নীতীশ কুমার ৮৪ দিন পর গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করার জন্য প্রকাশ্যে আসেন। জানা গেছে এতদিন পর্যন্ত তিনি অ্যানে মার্গের সরকারি বাসভবনে নিজেকে করোনা কারণে বন্দী অবস্থায় রেখেছিলেন। প্রকাশ্যে আসার পরই তিনি সম্পূর্ণভাবে আসন্ন নির্বাচনের জন্য গুটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন। জানা গেছে ভোটার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে দলের নানা কাজকর্ম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী ভোটের রণকৌশল নীতি স্থির করতে তিনি ছয় দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝাঁ এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,‘বিহারের ৭০ শতাংশ পুরুষ-মহিলা ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। নীতীশ কুমার ক্ষমতায় আসার আগে বিহারের অবস্থা কেমন ছিল, এনিয়ে তাঁদের বিশেষ ধারণা নেই।

অতীত এবং বর্তমান বিহারের তুলনা তাঁদের সামনে তুলে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে।’প্রসঙ্গত নীতীশ কুমারের প্রাক্তন সহযোগী পিকে সমগ্র বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। প্রাক্তন সহযোগী হওয়া সত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পিকের সমালোচনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা মতামতের ঝড় উঠেছে বলে সূত্রের খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত রবিবার পিকে নীতীশ কুমারের রণকৌশল নীতির তীব্র সমালোচনা করে টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘পরীক্ষার হার সবচেয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও বিহারে ৭ থেকে ৯ শতাংশ করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। মোট আক্রান্ত ছ’হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু বিহারে এখন করোনা ভাইরাস ছেড়ে ভোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার করোনার ভয়ে নিজেকে ঘরবন্দি করেছেন। আর ভাবছেন সকলে ঘর থেকে বেরিয়ে ভোটে অংশ নিলে কারও করোনার সংক্রমণ ঘটবে না।’এদিকে বাংলায় শাসকদল তৃণমূলের প্রচারের জন্য দায়িত্বে আছেন পিকে।

প্রসঙ্গত বাংলাতেও করোনার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু সেই অবস্থাতেও ‘বাংলার গর্ব মমতা’ পেজ থেকে লাগাতার প্রচার চলছে বলে জানা গেছে। এমনকি এই পেজটা চালিত হয় পিকের আওতাভুক্ত টিমের মাধ্যমে। বাংলাতেও নির্বাচন আসন্ন। ফলে বাংলাতেও ভোটার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নির্বাচনের প্রচার চালু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

বাংলার এই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে পিকের নির্বাচনের জন্য প্রচার মোটেই সমর্থন যোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এর থেকেও বড় ব্যাপার হলো বাংলায় নিজে ভোটের প্রচার করে বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের প্রচার নিয়ে সমালোচনা করলে মানুষ কি আদৌ ভালোভাবে নেবেন? এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট জল্পনা ঝড় উঠেছে বলে সূত্রের খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!