এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আবার নির্বাচনী বিধি ভেঙে কমিশনের রোষানলে দুই দলের দুই হেভিওয়েট নেতা- নেত্রী

আবার নির্বাচনী বিধি ভেঙে কমিশনের রোষানলে দুই দলের দুই হেভিওয়েট নেতা- নেত্রী

সম্প্রতি নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য উত্তরপ্রদেশের বিজেপির হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতীর প্রচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার সেই যোগী এবং মায়াবতীর তালিকাতেই যুক্ত হল আজম খান এবং মানেকা গান্ধীর নাম।

সূত্রের খবর, বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হওয়ায় আজম খানের ক্ষেত্রে 72 ঘণ্টা এবং মানেকা গান্ধীর ক্ষেত্রে 48 ঘন্টা প্রচার না করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। কিন্তু হঠাৎ কি কারনে এই দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল?

জানা গেছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে মানেকা গান্ধী বলেন, “আমি জিতছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি মুসলিমদের সাহায্য ছাড়াই নির্বাচনে জিতি তাহলে তা ভালো হবে না। তখন যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি আমার কাছে কাজের জন্য আসেন, আমি তো তার কাজ সহজে করব না। আমরা সবাই মহাত্মা গান্ধীর ছেলে নই যে, আমরা শুধু দিয়ে যাব, তারপরও নির্বাচনে হারব। মাথায় রাখবেন এবার আমাদের জয় আসবেই। সে আপনারা সাথে থাকুন আর না থাকুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মানেকা গান্ধীর এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের পর যখন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হতে থাকে, ঠিক তখনই এবার মানেকা গান্ধীকে নিয়ে প্রচারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। তবে শুধু মানেকাই নয়, নির্বাচন কমিশনের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে আজম খানকেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার রামপুরের একটি সভায় জয়াপ্রদার নাম না করে আজম খান বলেন, “মানুষটা 10 বছর ধরে রামপুরের লোকজনের রক্ত চুষেছে। আমি তাকে রামপুরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। আপনারা তাকে 10 বছরের জন্য প্রতিনিধি বানালেন। তার আসল রূপ চিন্তে আপনাদের 17 বছর লাগল। আর আমি 17 দিনেই বুঝতে পেরেছি যে তার অন্তর্বাস খাকি রঙের।”

আরে এধরনের কুমন্তব্যের জন্য এবার আজম খানকেও 72 ঘন্টা প্রচার না করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে এবার যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীর তালিকায় পড়ে নির্বাচন কমিশনের রোষানলে পড়লেন মানেকা গান্ধী এবং আজম খান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!