নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবার প্রভিডেন্ট ফান্ডেও কি জনমোহিনী হতে চলেছে কেন্দ্র? জানা যাবে আজ জাতীয় February 22, 2019 অবশেষে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সুদের হার এবং ইপিএফ পেনশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদ। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সম্ভবত ইপিএফও’র শেষ অছি পরিষদের বৈঠক। অনেকে বলছেন, আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে ইপিএফ পেনশন এবং ইপিএফ সুদের হারে বড়সড় চমক রয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে কি এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেতে চলেছে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন? আর এর জেরেই কি সুরাহা হতে চলেছে দেশের প্রায় ৬২ লক্ষ ইপিএফ পেনশন গ্রাহক? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে দেশের প্রায় ছ’কোটি ইপিএফ গ্রাহকের জন্য ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে গত তিন বছরে ইপিএফে সুদের হার ক্রমাগত কমিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যেখানে দেখা গেছে, গত ২০১৫-১৬ সালের ভিত্তিতে যেখানে ৮.৮ শতাংশ হারে সুদ পেতেন ইপিএফ গ্রাহকেরা, অন্যদিকে গত ২০১৬-১৭ সালের ভিত্তিতে তা কমে বার্ষিক ৮.৬৫ শতাংশ হারের সুদে দাঁড়িয়েছে। আর ২০১৭-১৮ সালের ভিত্তিতে তা কমিয়ে বছরে ৮.৫৫ শতাংশ করা হয়, আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্তের মানুষদের পকেটে টান পড়তে শুরু করেছে। তবে গত ২০১৮-১৯ সালের ইপিএফ সুদের হার আরও কমিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সুদ বাড়তে পারে বলেও জল্পনা বাড়ালেও সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রায় না থাকলেও কমার আশঙ্কা নেই। সম্ভবত ২০১৮-১৯ সালের ভিত্তিতে ইপিএফে সুদের হার অপরিবর্তিতই রেখে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি একটি রিপোর্ট পেশ করে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করার সুপারিশও করেছে। জানা যায়, এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ৪০ লক্ষ ইপিএফ পেনশনার্স মাসে দেড় হাজার টাকার কম পেনশন পান। আর আগামীকালের অছি পরিষদের এই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কমিটির রিপোর্টকে সামনে রেখে ইপিএফের পেনশন বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই বৈঠকেই ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধির ঘোষনা করা হতে পারে। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রভিডেন্ট ফান্ডে কেন্দ্র সরকার কোনো জনমোহিনী ঘোষণা করে কি না এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -