এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্বাচনে লড়াই আরো কঠিন হতে চলেছে কি?নয়া পদক্ষেপ নেওয়ার পথে নির্বাচন কমিশন, বাড়ছে জল্পনা

নির্বাচনে লড়াই আরো কঠিন হতে চলেছে কি?নয়া পদক্ষেপ নেওয়ার পথে নির্বাচন কমিশন, বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যে কোনো নির্বাচনেই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানা সময় ভুল হলফনামা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাকে আটকাতে তদন্তের দাবি করেছে নানা মহল। কিন্তু সেভাবে এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে এবার ভুয়ো হলফনামা ঠেকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের সমস্ত বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগেই একটি বৈঠকে বসেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা।

আর সেখানেই প্রার্থীদের ভুয়ো হলফনামা ‌দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে খবর। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কেউ যদি এবার থেকে ভুয়ো হলফনামা জমা দেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি অভিযোগ আসে, তাহলে তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ।

শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে যদি কোনো ভুল ধরা পড়ে, তাহলে তা প্রার্থীদের ভুল হিসেবেই দেখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। আর কমিশনের এই উদ্যোগে এবার ভুয়ো হলফনামার বাড়বাড়ন্ত অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশের মতে, দেশ ও রাজ্যের একাধিক রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নির্বাচনে প্রার্থী পদে দাঁড়ানোর সময় মনোনয়নপত্রে ভুয়ো হলফনামা জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মূলত কোন প্রার্থী যদি ভোটে দাঁড়ানো তাহলে তাকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্পত্তি শিক্ষাগত যোগ্যতা ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত নানা তথ্য দিতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রার্থী নানা সময়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যেমন গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতা ভুল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও 2016 সালের অক্টোবর মাসের দিকে মনিপুরের কংগ্রেস বিধায়ক এম পৃথ্বিরাজ সিংয়ের বিধায়ক পদও বাতিল হয়েছিল এই ভুল তথ্য দেওয়ার কারণেই। ফলে এই প্রবণতা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য এবার কমিশনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেননা দেশের গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে যারা প্রার্থী হচ্ছেন, তাদের তরফ থেকে মিথ্যা বক্তব্যকে আগে দূরীভূত করতে হবে। তাই হলফনামা জমা দেওয়ার সময় যারা তথ্য দিচ্ছেন, তাদের আটকাতে কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রত্যেকেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনো গলদ ধরা পড়ে, তাহলে কমিশনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!