“রাজ্যে গণতন্ত্র নেই” এই দাবি তুলে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার অনেক আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজ্যে নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাতে প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায় তার জন্য আর্জি জানিয়েছিল বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ছয় দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

বাকি রয়েছে আরও এক দফা। আর প্রতি দফার নির্বাচনের শেষে যখন সন্ত্রাসের খবর পাওয়া যেত, ঠিক তখনই বিরোধীদের তরফে দাবি জানানো হত যে পরবর্তী দফাগুলোতে যেন আরও বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায়। আর প্রতিবারই কমিশনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বিরোধীদের আশ্বাস দেওয়া হত। এমনকি পঞ্চম দফার নির্বাচনের শেষে সদ্যসমাপ্ত ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বাস্তবে তার অনেকটা প্রয়োগও ঘটিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে 713 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।কিন্তু এবার সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কমে 710 কোম্পানি হতে চলেছে বলে জানালেন রাজ্যের জন্য নিযুক্ত কেন্দ্রের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। আর এতেই কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট হয়েছে বিরোধীরা।

কেননা এই সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কলকাতার দুটি লোকসভা কেন্দ্র, যাদবপুর সহ একাধিক নজরকাড়া কেন্দ্র রয়েছে এই সপ্তম দফার নির্বাচনে। ফলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন এই শেষ দফার নির্বাচনে সন্ত্রাসের আশঙ্কা করে আরও বেশি মাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে, ঠিক তখনই ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে 713 কোম্পানি থেকে কমিয়ে সপ্তম দফার নির্বাচনে 710 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কথা বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক শোনালে তা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে ফের সোচ্চার হওয়ার ঘটনা ঘটবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী রবিবার 19 মে সপ্তম তথা শেষ দফায় কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর – এই নয়টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন রয়েছে। নজর কাড়া এই সব কেন্দ্রে সন্ত্রাসের যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে এবং সেখানে যেতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় তার জন্য বিরোধীরা প্রথম থেকে দাবি জানিয়েছিলো।

তবে কেন্দ্রের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পূর্বের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন থেকে এই সপ্তম দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী কমিয়ে দেওয়ার কথা শোনালে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এখন ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবার সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।