লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘সঠিকভাবে’ ব্যবহার করতে বিশেষ পদক্ষেপের পথে নির্বাচন কমিশন কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য February 4, 2019 বাংলায় যে কোন নির্বাচন এলেই বিরোধীরা সরব হয়ে ওঠেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে। বিরোধী থাকার সময় তৃণমূল কংগ্রেসও করেছিল, অধুনা বিরোধী দল – বিজেপি, কগ্রেস, বামফ্রন্টও করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও, বিগতদিনে সেই বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আর এবারে যাতে এই অভিযোগ আর কেউ তুলতে না পারেন, তার জন্য অভিনব পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আর রাজ্যের এসপি’রা নন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবেন নির্বাচন কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত, এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সব বিরোধী দল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দায়িত্ব কমিশনকে নিজের হাতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। আর বিরোধীদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য শুধু প্রধান রাস্তায় নয়, প্রত্যন্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দেবে। ভিন রাজ্য থেকে আসবেন পুলিস পর্যবেক্ষকরা, তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার পরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের বক্তব্য, আসন্ন নির্বাচনে – রাজ্য পুলিশ কার্যত ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ হয়ে যাবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর সেই রাজনৈতিক ধর্নামঞ্চে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, রাজীব কুমার বা জাভেদ শামীমের মত শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের দেখে তীব্র সমালোচনায় ফেটে পড়েন বিরোধীরা। এর আগে, নির্বাচন কমিশন ডাকলেও বৈঠকে যাননি পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, যা নিয়ে রীতিমত ক্ষিপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এমনকি এই নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়ে দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কমিশনার না যাওয়ায় ওরা দুঃখ পেয়ে থাকলে আমিও দুঃখিত! আর এই সব মিলিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল রাজ্যের পুলিশকে কার্যত দলদাসে পরিণত করেছে। এর আগে শাসকদলের ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষ্যে রাস্তায় আটকে পড়া লরির ড্রাইভার বা খালাসীদের খিচুড়ি পরিবেশন করে খাওয়াতে হয়েছে পুলিশকে – এমন খবরও সামনে এসেছিল। আর তাই এই পরিস্থিতিতে কিছুতেই রাজ্যের পুলিশ দিয়ে নিরপেক্ষ ভোট হওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি বিরোধীদের। আর তাই বিরোধীদের আশ্বস্ত করতেই এবার লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘সঠিকভাবে’ ব্যবহার করতে বিশেষ পদক্ষেপের কথা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশিই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, আমরা সব রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুনেছি, জেলাশাসক-পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের বলেছি, নিয়ম মেনে কাজ না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র উদ্ধার করতে বলা হয়েছে। সরাসরি মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ শোনার জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে, যেখানে সাধারণ মানুষ ছবি তুলে নানা বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এমনকি সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফি বা ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে প্রতি বুথেই নজরদারি করা হবে। আপনার মতামত জানান -