এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সময়ে ভোট করতে বড়সড় পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন, অবাধ নির্বাচন নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন

সময়ে ভোট করতে বড়সড় পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন, অবাধ নির্বাচন নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভয়াবহতার জন্য আদৌ সঠিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অবশেষে এই নির্বাচনের ব্যাপারে তৎপরতা অবলম্বন করল নির্বাচন কমিশন। তবে করোনা ভাইরাসকে গুরুত্ব দিয়ে যাতে বয়স্ক ব্যক্তিরা সংক্রমিত হয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ। যেখানে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে 65 বছরের উপরে সকলকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হল।

তবে কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এর ফলে আদৌ অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে আইন মন্ত্রকের তরফ থেকে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল না, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা ভয়াবহতার পরে প্রথম বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তবে সঠিক সময়ে সেই নির্বাচন হওয়া নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এদিন আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নির্বাচন যে আর পেছোবে না, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল। এদিকে বিহারের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তাই ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল এই ব্যাপারে তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা বয়স্ক ব্যক্তিদের যদি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়, তাহলে কতটা অবাধ নির্বাচন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে একতরফা বলে অভিযোগ করে কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি‌। তিনি বলেন, “এর ফলে ভোটের কারচুপি বাড়বে। শাসকদলের অনেকটাই সুবিধা হবে।”

অন্যদিকে তৃণমূল এই পদ্ধতিতে কোনো সমস্যা না দেখলেও, 65 বছরের বেশি বয়সের সকলের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করায় অবাধ নির্বাচন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে তাদের মনে তৈরি হয়েছে সংশয়। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন তোলা হলেও, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অনুরোধ করে রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন হিংসা পরিত্যাগ করেন এবং রিগিংকে ব্যর্থ করেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বয়স্ক মানুষরা। তাই সঠিক সময়ে নির্বাচন করতে সেই সমস্ত বয়স্ক মানুষদের কথা ভেবে বাড়িতে বসেই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে যাতে তারা ভোট দিতে পারে, তার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এখন আপত্তি জানাতে শুরু করেছে। কেননা ভোটের সময় এমনিতেই বিভিন্ন রাজ্যে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় না বলে দাবি করা হয়।

সেদিক থেকে যদি বয়স্ক ব্যক্তিদের বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়, তাহলে অবাধ নির্বাচন করা অনেকটাই অসম্ভব হবে বলে দাবি করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়িত হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!