এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে এবার সাংগঠনিক বদলের পথে বামেরা,জেনে নিন

নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে এবার সাংগঠনিক বদলের পথে বামেরা,জেনে নিন

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তারা একটি আসনও নিজেদের ঝুলিতে আনতে পারেনি। যার ফলে দলীয় সংগঠনের যেমন ধাক্কা পড়েছে, ঠিক তেমনই কিভাবে তারা ভবিষ্যতে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোবে, তা নিয়েও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে বামেদের আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ছাটাই প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ভাবছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।

সূত্রের খবর, বৃদ্ধ এবং নিষ্ক্রিয় কর্মীর পাশাপাশি নেতাদেরও ধীরে ধীরে ছেঁটে ফেলতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যে পরিকল্পনায় দলের রাজ্য কমিটি এবং সম্পাদকমণ্ডলীর বয়স্ক এবং অসফল নেতাদের ক্ষেত্রে কোপ পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই আগামী 15 ই আগস্টের মধ্যে রাজ্য কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে এই ব্যাপারে লিখিত পরামর্শ চেয়ে রেখেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। মূলত যে সমস্ত নেতারা বয়সের ভারে আর কাজ করতে পারছেন না, এবার তাদের সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তাহলে কি এক্ষেত্রে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুর মত নেতারাও অবসর নেবেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে আলিমুদ্দিনে দু দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ একাধিক পলিটব্যুরোর সদস্যরা। আর সেখানেই লোকসভা ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর জেলা ষস্তর থেকে একদম নিচুতলা পর্যন্ত কিভাবে সংগঠনের হাল-হকিকত ফেরানো যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নেন সূর্যকান্ত মিশ্র।

আর এরপরই সংগঠনে বদলের ইঙ্গিত দেন তিনি। যেখানে বয়সের কথা তুলে ধরে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “দেশের 70 শতাংশ ভোটারের বয়স চল্লিশের নিচে। কিন্তু আমাদের দলের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সেই হিসেব প্রায় বিপরীত। তাহলে কিভাবে আমরা জনসংযোগের কাজে সফল হব! 2021 সালের বিধানসভা ভোট আমাদের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। তাই সেই ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের একটা সতেজ পাটি তৈরি করে এগোতে হবে। মাথায় রাখা উচিত যে বামপন্থী সমর্থকরা আমাদের ভোট দেয়নি, তারা কিন্তু স্থায়ী ভাবে চলে যায়নি। রাজ্যের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তারা হয়ত বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সংগঠন মজবুত করে সেই মানুষের কাছেই আমাদের সবার আগে পৌঁছে যেতে হবে।”

এদিকে দলের রাজনৈতিক লাইন নিয়ে যেতে কোনো বিতর্ক না হয়, তার জন্যও এদিন কড়া বার্তা দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে ইস্যুভিত্তিক যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দলের কোনো বাধা বা দ্বিমত নেই। বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালাব। এক্ষেত্রে কোনো নেতা নিজের মত ব্যক্ত করে দলের লাইন বলে চালাতে পারেন না।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বামেদের তন্ময় ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তন্ময় ভট্টাচার্যকে তার করা মন্তব্য নিয়ে জেলা কমিটির কাছে কৈফিয়ত তলবের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠায় জেলা নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সামনে নির্বাচনগুলিতে দলের বিপর্যয় রুখতে একদিকে বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে দেওয়া এবং অন্যদিকে শৃঙ্খলা এনে সংগঠনকে মজবুত করতে উদ্যোগী আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!