এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এমন বাচাল রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি- রাজ্যপালকে আক্রমণ সৌগতর!

এমন বাচাল রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি- রাজ্যপালকে আক্রমণ সৌগতর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল সোমবার রাজভবনে বসে এক বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে রাজ্যপাল রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ধারালো বক্তব্য রেখেছিলেন। যেখানে তিনি রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে, বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন, রাজ্যের গণ ব্যবস্থা সমস্ত কিছু নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আইন মান্য করেন না। মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রশ্নের জবাব দেন না। বিশ্ববাণিজ্য, রাজ্যের গণ বণ্টন ব্যবস্থা যা কিছু নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রী নিরুত্তর থাকেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন বলে মন্তব্যও করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, ” মুখ্যমন্ত্রীকে ওনার দায়িত্ব মনে করাতে চাই। রাজ্যপালের দায়িত্ব সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। আমি কারও রাবার স্ট্যাম্প নই।”

রাজভবন থেকে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর গতকাল সোমবার রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতৃত্বকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেল।

গতকাল দমদমের সাংসদ ও তৃণমূল দলের মুখপাত্র সৌগত রায় লেক গার্ডেন্সে নিজের বাড়িতে বসেই রাজ্যপাল সম্পর্কে একাধিক বক্তব্য রাখলেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার মন্তব্য, “‌এমন বাচাল রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি। রাজভবন থেকে বাংলার বদনাম করছেন। সংবিধান মানছেন না।”

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তিনি আরও জানালেন যে, রাজ্যপাল একজন মনোনীত শাসক যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের হাত শক্ত করতে সচেষ্ট হয়েছেন। তাঁর দাবি, বাংলার সমাজে রাজ্যপালের কোনো প্রভাব নেই। অন্যদিকে রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্র সম্পর্কে রাজ্যপাল যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তা তিনি কখনই সমর্থন করেন না বলে জানালেন। পরিবর্তে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করলেন যে, রাজ্যপাল রাজভবনে বসে সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন।

এরপর রাজ্যপাল সম্পর্কে সৌগত রায় আরও অভিযোগ জানালেন যে, ” রাজ্যপাল তো আইনজীবী ছিলেন। সংবিধানে লেখা নেই তিনি অফিসারদের চিঠি দিতে পারেন। তিনি সংবিধান পড়েন না?‌ রাষ্ট্রপতিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকে চিঠি লিখতে পারেন না। মন্ত্রিসভার উপদেশ নিয়ে রাজ্যপালকে কাজ করতে হয়, এটাই সংবিধানে লেখা আছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অন্যায় করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ওপর ইলেকট্রনিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। এ-‌সব ছেঁদো কথা। ওঁর কাছে নজরদারির তথ্য থাকলে তা দিয়ে প্রমাণ করুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, গতকাল সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান রাজ্যপালের বিভিন্ন বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন। গতকাল এই দুই বিরোধী নেতাকেও এক হাত নিলেন সৌগত রায়। তাঁদের সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করলেন, ” ‌মান্নানদের কথার কোনও জবাব দেব না। এঁরা কে!‌ ” সেই সঙ্গে এটাও তাঁকে বলতে শোনা গেল যে, সংবিধানের ১৫৭ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে সেই চিঠির জবাব নাও দিতে পারেন। উপযুক্ত সময় হলেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠির জবাব দেবেন।

গতকাল সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেল কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে। রাজ্যপাল সম্পর্কে তিনি জানালেন, ” রাজ্যপালের পদের গরিমা তিনি নষ্ট করে ফেলেছেন। অমিত শাহকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে ওঁর চাকরি চলে যাবে। তাই বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করছেন।”

রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তিনি আরও মন্তব্য করলেন যে, উত্তরপ্রদেশের যখন এনকাউন্টার হয়েছিল সেসময় তিনি নীরব ছিলেন। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল ভালোভাবেই জানেন যে, এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করলে তিনি পদ হারাবেন। রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, এমন ধরনের রাজ্যপাল তিনি আগে কোনদিন দেখেননি। তাঁর অভিযোগ বিজেপির হয়ে নির্বাচন করতে এসেছেন এর ফলে কোন লাভ হবে না। রাজ্যের আইন- শৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে রাজ্যপালের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ” আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি বলেছেন‌!‌ নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর যখন জ্বলছিল, তখন তিনি কোথায় ছিলেন?‌ এখন তো বাংলা অনেক শান্ত!‌ ”

অন্যদিকে, গতকাল পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জিও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য রাখলেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ” আপনি বিজেপি-‌র রাজ্য সভাপতি হয়ে এ-‌সব মন্তব্য করুন!‌ সংবিধান লঙ্ঘন করছেন কেন? “

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!