এমন মার মারুন, যাতে আগামী চোদ্দ পুরুষ বিজেপির দিকে তাকাতে না পারে! নেতার নিদানে উত্তাল বাংলা বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য September 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে চলেছে ততই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হচ্ছে বিরোধী দল বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির চলছে একের পর এক বিষেদাগার। সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু তৃণমূল দল ছাড়াও রাজ্যের পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিষেদাগার করতে দেখা দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বদের। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক তোপধ্বনি বর্ষণ করেছিলেন। গতকাল শনিবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিশেষ ভাবে সরব হতে দেখা গেল। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু গতকাল শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ে রাজ্য পুলিশকে শাসকদলের দলদাস অভিধায় ব্যাখ্যাত করলেন। তার পরে পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রায় হুমকির মতো তাঁর হুঁশিয়ারি বাণী, ” ছ’মাস পরে কোথায় থাকবেন ভেবে নিন। এই সুখের জীবন আর থাকতে দেব না। ’’ প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার ছিল বিজেপির নারায়ণগড় থানা ঘেরাও ও সেইসঙ্গে পুলিশকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলায় বিজেপির বিশেষ দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে যাওয়ার সময় মকরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির নারায়ণগড় উত্তর মন্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ দে ও সাধারণ সম্পাদক গিরিজাপ্রসাদ দেকে হেনস্থা করে তৃণমূলের বেশকিছু সদস্য এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ এ ঘটনা ঘটে যাবার পর দুদিন অতিক্রান্ত হলেও দোষীদের গ্রেপ্তারের কোন চেষ্টাই করেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে গতকাল ছিল নারায়ণগড় থানা ঘেরাও কর্মসূচি। বিজেপি এই উপলক্ষে নারায়ণগড়ের চাতুরিভাড়া থেকে নারায়ণগড় থানা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল। তবে নারায়ণগড় থানার কিছুটা আগেই বিরাট পুলিশ বাহিনী তাদের মিছিল রোধ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা ও কিছুটা হাতাহাতি হয় বিজেপির কিছু সদস্যর। যা নিয়ে শোরগোল পরে যায় এই এলাকায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলিশের প্রতি প্রশ্ন, বিজেপি নেতাদের উপরে মারধর করার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত তৃণমূল সদস্যদের কেন পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি? এর উত্তরে খড়্গপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ” তদন্ত চলছে। মামলা দায়ের হয়েছে।’’ এদিন পুলিশকে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে অভিযুক্ত করে সায়ন্তন বসু বলেন, ” দোষীদের পুলিশ ধরতে যদি না পারে, হাত ভেঙে, চুন মাখিয়ে হলুদ মাখিয়ে, নুন আর লঙ্কা ছড়িয়ে পরে থানায় জমা করে দিন।’’ এদিনের কর্মসূচিতে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ এবং অন্যান্য বেশকিছু নেতৃবর্গ। গতকাল পুলিশের পাশাপাশি শাসকদল তৃণমূলকেও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে পাল্টা মারধরের নির্দেশ দিয়ে তিনি বললেন, ” এমন মার মারুন, যাতে আগামী চোদ্দ পুরুষ বিজেপির দিকে তাকাতে না পারে। ’’ গতকাল বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে কড়া ভাষায় বিশেষভাবে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করেছেন। যার প্রতিবাদ তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন, ” মঞ্চে এবং মাইকে নেতা। মাটির নেতা সায়ন্তন নন। আর আমি সেই গোত্রের নই। বিজেপির নেতারা যতই এরকম প্ররোচনা ছড়াবেন ততই তাঁদের দল ভেঙে তৃণমূলে আসবে। সেটা আটকাতে পারবেন না।’’ আপনার মতামত জানান -