এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কর্মীদের ‘ইনসেনটিভ’ দিতে এবার অভিনব পথে হাঁটছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা

কর্মীদের ‘ইনসেনটিভ’ দিতে এবার অভিনব পথে হাঁটছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা

পূর্ব বর্ধমানে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ ক্ষতির লাগাম টানতে অভিনব পদক্ষেপ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার। গত বছরের তুলনায় ৭% অর্থাৎ ৭০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ ক্ষতির পরিমান কমাতে পারলেই মাইনের পাশাপাশি পুরস্কার হিসাবে মিলবে ইনসেনটিভ। প্রতি ছ’মাস অন্তর কার্যকলাপ যাচাই করার পর মিলবে অতিরিক্ত প্রাপ্যটুকু। এদিনে বর্ধমান জোনাল অফিসে বৈঠকের পর এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে ডব্লুবিএসইডিসিএল। অক্টোবর থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অক্টোবর-মার্চ এবং এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের সময়কালে কাস্টমার কেয়ার, ডিভিশন অফিস, রিজিওনাল অফিস এবং জোনল অফিসের পারফরম্যান্স যাচাই করা হবে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ নম্বর।

পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, ২০১৭-১৮ সালে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির ২৭৩ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার লোকসান হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। মোট ২৭ টি স্টেশন ম্যানেজারের অফিস রয়েছে গোটা জেলায়। তার মধ্যে গুসকরায় ২০কোটি ৪২লক্ষ (৭০.৩৯শতাংশ), ভাতারে ২৮কোটি ২৬লক্ষ (৭৯.৫৭শতাংশ), রায়নায় ১৩কোটি ৯২লক্ষ (৬৩.২৭শতাংশ), সাতগাছিয়ায় ১৬কোটি ৫৬লক্ষ (৬৫.০৬শতাংশ), জামালপুরে ১৫কোটি ২৪লক্ষ (৫৮.৪৪শতাংশ), নতুনহাটে ২২কোটি ৮৮লক্ষ (৭৯.৩৭শতাংশ), কাটোয়ায় ১০কোটি ৭৯লক্ষ (৪১.১২শতাংশ), কেতুগ্রামে ২০কোটি ৬৯লক্ষ (৭০.১৮শতাংশ), মন্তেশ্বরে ১৯কোটি ৪৩লক্ষ (৭৪.৮৭শতাংশ), সমুদ্রগড়ে ১২কোটি ৮৯লক্ষ (৫৮.৬৪শতাংশ) এবং পূর্বস্থলীতে ১১কোটি ৫৮লক্ষ (৬৫.৫৯শতাংশ) টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আরও ১৬টি স্টেশন ম্যানেজারের অফিস এলাকায় আরও ৮১কোটি টাকা লোকসানের তথ্য সামনে এসেছে।

এই মাত্রাতিরিক্ত লোকসান ভাবিয়ে তুলেছে বিদ্যুৎ বন্টন কর্তাদের। অবিলম্বে কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার জন্য দফায় দফায় বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির রাজ্যের আধিকারিকরা জেলার জোনাল, রিজিওনাল এবং ডিভিশনাল ম্যানেজারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এদিন সেই বৈঠকে উঠে আসে ৭ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ কোটি টাকার লোকসানের প্রসঙ্গ। বৈঠকে উঠে এসেছে বিদ্যুৎ চুরির মতো বেআইনি ইস্যুও। তারপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মকর্তারা। বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালিয়ে সামনে এসেছে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের নাম। তাদের পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ এর টাকা বাকি আছে যাদের,তাঁদের কড়া ভাবে জানানো হয়েছে,অবিলম্বে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ-এর বকেয়া টাকা না মেটালে তাদের বিদ্যুৎ এর পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে ১০৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে এরজন্য।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ইতিমধ্যেই যারা বকেয়া মেটাননি তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জেলায় ২৩ হাজার সাবমার্সিবল পাম্পের সংযোগ থেকে কারেন্টের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। তবে আমন জমিতে জলের অভাব থাকা সত্ত্বেও সাবমার্সিবল পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি ডব্লুবিএসইডিএল। তবে ৭০ কোটির এই বিপুল পরিমান ক্ষতির ভরপাই করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের বলেই মনে করছেন ডব্লুবিএসইডিএল-এর অধিকর্তা স্বপন কুমার দে। বিদ্যুৎ- এর লাগামছাড়া লোকসান কমাতেই বর্ধমান জোনাল অফিসে বৈঠক হয়েছে বলেই জানালেন ডব্লুবিএসইডিএল অন্য এক কর্মকর্তা।

অন্যদিকে,ডব্লুবিএসইডিএল রিজিওনাল ম্যানেজার জানিয়েছেন,২৩ হাজার সাবমার্সিবল পাম্পের বকেয়া রয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। তবে একবারেই বকেয়া মেটাতে বললেনি তারা। পর্যায়ক্রমে টাকা দিয়ে দিতে বলা হয়েছে। সেটাতেও যারা কান দিচ্ছেন না,তাদের কারেন্টের তার কেটে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বিদ্যুৎ বন্টনে অরিরিক্ত ক্ষতির পরিমান কমানো যাবে বলেই মনে করছেন ডব্লুবিএসইডিএল-এর কর্মকর্তারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!