এরমধ্যেই দল ঘোষণা করতে চলেছেন আব্বাস সিদ্দিকী রাজনীতি রাজ্য January 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিকবার নানা সভা থেকে প্রবল বিষেদাগার করেছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। একটি নতুন দল গঠন করার ঘোষণা, ইতিপূর্বে তিনি করেছেন। গত মাসেই তিনি নতুন দল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এবার এক ধর্মীয় সভা থেকে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি তাঁর দল ঘোষণা করতে চলেছেন। সমস্ত ধর্মের মানুষকে নিয়ে তিনি চলতে চান। মুসলমান ছাড়াও দলিত, আদিবাসী, সাঁওতাল, খ্রিস্টান সকলকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে ফুরফুরা শরীফে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি। বৈঠকের পর আসাউদ্দিন ওয়াইসি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, আব্বাস সিদ্দিকীর পাশে থাকবেন তিনি। আব্বাস সিদ্দিকীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বারাসাতের ব্যারাকপুর রোডের নিকটে নারায়নপুরে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করে আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন যে, রাজনীতির অবস্থান সবার উপরে। তিনি জানালেন যে, সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে চলতে চান তিনি। আসাউদ্দিন ওয়াইসি তাঁর সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তাঁর দল তৈরি হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই তিনি দল ঘোষণা করতে চলেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এআইএমআইএম। এরপর এআইএমআইএমকে বিজেপির বি-টিম বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন যে, যারা এই ধরনের কথা বলছেন তারা হিংসার কারণেই এরকম কথা বলছেন। এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের মূর্খতারই প্রকাশ করছেন। তিনি জানালেন যে, বিজেপিকে বাংলার আনার জন্য দায়ী হলো শাসকদল তৃণমূল। তিনি দাবি করেছেন যে, তৃণমূলের বিভিন্ন কাজ কর্মের কারণেই বাংলায় বিজেপি এসেছে। তিনি জানালেন যে, বিজেপি সরকারের সহযোগিতাতেই একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি জানালেন, তাঁরা ফ্রন্ট তৈরি করছেন। যা তৈরী হলে সকলকে জানিয়ে দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, শাসকদল তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো সংখ্যালঘু ভোট। আবার রাজ্যের ১০০ টিরও বেশি বিধানসভায় নির্ণায়ক হলো সংখ্যালঘু ভোট। এই পরিস্থিতিতে আব্বাস সিদ্দিকী ও মিম যদি জোট করে আগামী নির্বাচনে লড়াই করে, তবে বেশ কিছু আসনে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লাভবান হতে পারে বিজেপি। যদিও, তৃণমূল বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ। তৃণমূলের দাবি, সংখ্যালঘুরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন, তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছেন। আপনার মতামত জানান -