এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “এরা গ্রামে ঢুকে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যার নেপথ্য়ে আছে বিজেপি সরকার।” – কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

“এরা গ্রামে ঢুকে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যার নেপথ্য়ে আছে বিজেপি সরকার।” – কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কিছু পূর্ব থেকেই রাজ্যে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরও রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কিছু কোম্পানি। আরো একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি আসতে চলেছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমনকে কটাক্ষ করলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। তাঁর কটাক্ষের জবাবে, পাল্টা বক্তব্য রাখলেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অলক চক্রবর্তী।

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পূর্বেই জলপাইগুড়ি জেলায় এসে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিনটি কোম্পানি। এরিয়া ডমিনেশন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুরু হয়েছে রুটমার্চ। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রুটমার্চ করতে দেখা যাচ্ছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে দেখা গেল তৃণমূল শিবিরের। যার পাল্টা জবাব দিলো বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়িতে মোট ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। জলপাইগুড়িতে নির্বাচন হতে চলেছে আগামী ১৭ ই এপ্রিল। তার অনেকটা আগেই জলপাইগুড়িতে পৌঁছে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাংলাদেশ সীমানাবর্তী এই জেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার সময় বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। তবে, তাঁর বক্তব্যের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর থামতে দেখা যাচ্ছে না।

সম্প্রতি, এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ জানালেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামে ঢুকে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে। আর এর নেপথ্যে আছে বিজেপি সরকার, যা মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়ে গেছে। সিবিআই, ইডির মত এখন নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা দেখা হল রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। এ রাজ্যে কি উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে? সেটা দেখতেই পাচ্ছেন রাজ্যবাসী।

তাঁর এই বক্তব্যের পর, এর পাল্টা জবাব দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অলক চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে ভালো করেছে। তাঁরা দেখেছেন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে যারা পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভোট লুট করেছে, লুট করেছে ব্যালট, ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই বিজেপিকে ভয় দেখাবার জন্য, মানুষকে ভয় দেখাবার জন্য রীতিমতো মাঠে নামে কাজ শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ হচ্ছে, সাধারণ মানুষ তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ জানাচ্ছেন, এবার তাঁরা নিশ্চিন্তে ভোটটা দিতে পারবেন। আর মানুষের মধ্যে বিশ্বাস জাগছে বলেই, ভয় পেয়েছে তৃণমূল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!