চাইনিজ অ্যাপকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার চক্করে হারিয়েছেন ট্রু-কলার? এবার মুশকিল আসান করবে গুগল! অন্যান্য টেকনোলজি September 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ফোনে অচেনা নম্বর থেকে ফোন কিংবা ফোনের ওপারে অপরিচিত ব্যক্তি? ভয় তো লাগারই কথা। তবে এতদিন সেই ভয় কাটাতে সঙ্গী ছিল ট্রু কলার। তাতে আপনি চাইলে দেখে নিতে পারতেন অচেনা ব্যক্তির সিম রেজিস্টার্ড নাম থেকে ঠিকানা। সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করা থাকলে পেতে পারতেন আরো অনেক সুবিধা। কিন্তু চীনা অ্যাপ হওয়ায়, এখন অনেকের ফোন থেকেই বিদায় নিয়েছে সেটি। ফলে গ্রাহকদের সমস্যা থেকেই গেছে। তবে সম্প্রতি নাকি সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে গুগল। জানা গেছে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এই নতুন ফিচার আনছে গুগল। জানা গেছে, সার্চ ইঞ্জিন গুগল ‘Verified Calls’ নামক ফিচার নিয়ে আসছে। তার মাধ্যমে আপনাকে সে জানিয়ে দেবে ফোনের ওপারে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তিটির কথা। ভুয়ো ফোন এড়িয়ে চলতে বা ফোন করা ব্যক্তির পরিচয় জানতে অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই ট্রু কলার অ্যাপটি ব্যবহার করতেন। সেখানে শুধু কলারের নামই নয় আরও বিভিন্ন তথ্য দেয়, যা ব্যবহারকারীদের অত্যন্ত সাহায্য করত। আর সেই অ্যাপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই গুগলের এই নতুন ফিচার এনেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। [content_block id=39107 জানা গেছে, শীঘ্রই ওই অ্যাপটিতে নতুন একটি আপডেট আসবে, আর আপডেট করার পরই ফোনে Verified Calls ফিচার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তবে শুধু ভারতই নয়, স্পেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই ফিচারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলেই জানিয়েছে সংস্থা। তবে বিশেষ এই সুবিধা পেতে আপনার ফোনে এই অ্যাপটি কিভাবে ডাউনলোড করবেন জেনে নিন। গুগল ফোনে গুগল পিক্সেল অ্যাপের মাধ্যমে এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউলোড করা যাবে। গুগলের ‘verified Calls’ নামক অ্যাপের ফিচার সম্পর্কে জানতে গিয়ে জানা গেছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফোন রিসিভ করার আগেই জেনে যাবেন যে, কে কল করছেন, কী কারণেই বা ফোন করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকিং ফ্র্ড থেকে শুরু করে ভুয়ো ফোনের মাধ্যমে অনেক অপরাধমূলক কাজ হয়। কোনো পাচার চক্র থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, অনেক সময় ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় সেই নম্বরটি অন্য কারো। অপরাধী সেই নম্বরটি কাজে লাগিয়ে অপরাধ করছে। সেক্ষেত্রে আসল অপরাধীকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়। এই অ্যাপের ফলে ভুয়ো ফোনের সাহায্যে এই সমস্ত অপরাধমূলক কাজ যে ঘটে থাকে, তা অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। তবে সত্যি কি অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে ট্রু কলারের জায়গা নিতে পারবে? সেটা দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা। আপনার মতামত জানান -