প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রথম দিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস বেশকিছু বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে যেতে শুরু করেছিল, তখন কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেছিলেন, সময় এখনও পড়ে আছে। ধীরে ধীরে বিজেপি এগিয়ে যেতে শুরু করবে। এমনকি রাজ্যে বিজেপিই সরকার গঠন করবে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যখন 200 আসনে এগিয়ে রয়েছে, ঠিক তখনই আর ক্ষমতা দখল করা যে সম্ভব হবে না, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “হার স্বীকার করে নিচ্ছি। এটা সম্পূর্ণরূপে মমতার জয়। বুঝতে পারছি না বাবুল, লকেট কিভাবে পিছিয়ে গেলেন! এটা সম্পূর্ণ রূপে মমতার জয়।” অর্থাৎ এতদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা রাজ্যের ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের দিন গোটা ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই কার্যত পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলে মেনে নিতে হল বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতাকে। যা বিজেপির কাছে ব্যাপক হতাশাজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এতদিন বিজেপি যেভাবে বাংলা দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল, তাতে অনেকের মনেই ফলাফল নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। এমনকি বিজেপি ব্যাপক চাপ তৈরি করে ক্ষমতার কাছাকাছি চলে যেতে পারে বলেও দাবি করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। সেই মত করে বিভিন্ন জায়গায় জয়ের জন্য উৎসব আনন্দের পরিকল্পনাও করে রেখেছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” বলে ইভিএমের বাক্স খোলার সাথে সাথেই পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠল। যাকে কার্যত স্বীকার করে নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।