হেরে গেলেই রাজনৈতিক দলগুলি ইভিএমকে বলির পাঁঠা করে দাবি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের জাতীয় রাজ্য June 7, 2018 কথায় আছে ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’।বর্তমানে এই প্রবাদপ্রবচনের সাথে বিস্তর মিল রয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর। যারাই নির্বাচনে পরাজিত হন তারাই ইভিএমের ত্রুটি কে ঢাল করে রাস্তায় নামেন।গত শনিবার কোলকাতায় অনুষ্টিত হয় বনিকসভা এমসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনাসভা। সেই অনুষ্টানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াত। এদিন তিনি জানান, এদেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন হলেও আশ্চর্যজনকভাবে সেই নির্বাচনে পরাজয়ে নিজেদের দোষত্রুটি ঢাকতে সব দলের এখন সহজ উপায় হয়ে গেছে ইভিএমকে দায়ী করা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এদিন মুখ্য নির্বাবন কমিশনার আরও বলেন,সম্প্রতি নির্বাচনে অশান্তি এড়াতে কমিশন একটি ভিডিও অ্যাপও চালু করেছে।যার মাধ্যমে ভোটার তাঁদের সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবে কমিশনারের দফতরে।তাঁর সাথেই রাওয়াতের আরও সংযোজন,এর ফলে কমিশন যেমন অভিযুক্তদেরকে চিহ্নিত করতে পারবে তেমনই সম্পূর্নরুপে গোপন রাখা হবে অভিযোগকারী ব্যাক্তির পরিচয়।সূত্রে খবর,কাজেও দিয়েছে কমিশনের এই ভিডিও অ্যাপ। কর্নাটক ভোটে এইরকম 780 টির মত ভিডিও এসেছে কমিশনের হাতে। কমিশন সূত্রে খবর,বেশ কিছুদিন ধরেই কতগুলো দলের কোনও রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছিল না,এমনকি কোনো নির্বাচনে অংশও নিতে দেখা যায়নি তাদের।এইরুপ 1000 রাজনৈতিক দলকে গত দু বছরে বাতিল করা হয়েছে।এছাড়াও রাতারাতি গজিয়ে ওঠা ঐইসব দলের তথ্যে অনেক কারচুপিও রয়েছে,এমনকি অনেকক্ষেত্রে তাদের দলীয় দপ্তরের ঠিকানারও ঠিক নেই।সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে যেভাবে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে ফেক নিউজগুলোর এদিন সেই বিষয়েও মুখ খোলেন তিনি।নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন,এ নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।এর নজরদারির জন্য কমিশনের তরফে একটি টিমেরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে।এদিন অনুষ্টান শেষে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজবে কবে,এনিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সেই ব্যাপারে স্পষ্ট মতামত না দিয়ে সুকৌশলে তা এড়িয়েই যাওয়ার চেষ্টা করেছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আপনার মতামত জানান -