এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এখন থেকেই কি ইভিএম আতঙ্কে তৃণমূল? ভিভিপ্যাট থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে অপরাধের তালিকা প্রকাশ – সবেতেই বড় আপত্তি!

এখন থেকেই কি ইভিএম আতঙ্কে তৃণমূল? ভিভিপ্যাট থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে অপরাধের তালিকা প্রকাশ – সবেতেই বড় আপত্তি!


ইভিএম আতঙ্ক থেকে এখনো মুক্তি মেলেনি বিরোধীদের। তার প্রমাণ মিলল এদিন নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে। রাজ্যের সব বুথে ইভিএমের পাশাপাশি ভিভিপ্যাট রাখারও দাবী জানায় তৃণমূল। আর এ বিষয়ে সিপিএমও সমর্থন করে রাজ্যের শাসকদলকে। প্রসঙ্গত,বিজেপির তরফ থেকে আগে জানানো হয়েছিল,আগে সন্ত্রাসমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোট হোক তারপর গণনার বিষয়টি ভেবে দেখা যাবে।

কমিশন জানিয়ে দেয়, সব বুথে ভিভিপ্যাট থাকলেও প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি করে ভিভিপ্যাট মেশিন গণনা হবে। তবে কোন ভিভিপ্যাট গণনা হবে, তা লটারির মাধ্যমে বাছাই করা হবে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তেই বেঁকে বসে তৃণমূল-সিপিএম।

১৯’এর লোকসভা ভোটে নতুন অনেক নিয়মই চালু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেসব নিয়মের সঙ্গে পরিচয় করাতেই বেদিভবনে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। সেখানে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ছাড়াও অতিরিক্ত সিইও ওঙ্কার সিং মীনা, অমিত রায়চৌধুরী এবং সঞ্জয় বসু যুগ্ম সিইও অনামিকা মজুমদার এবং ডেপুটি সিইও অঞ্জন ঘোষ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সেখানেই নতুন ইভিএম, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য চালু হওয়া নতুন ফর্ম এবং সি-ভিজিল সহ নতুন ধরনের অ্যাপ সম্পর্কে সকলকে জানানো হয়। এখানে তৃণমূলের তরফ থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, তাপস রায় উপস্থিত ছিলেন। এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন সুখেন্দু পানিগ্রাহী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া বিজেপি’র পক্ষ থেকে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানেই কমিশন প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে ভিভিপ্যাট মেশিন গণনা হবে বলে ঘোষণা করলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। একই ইস্যুতে আপত্তি জানায় সিপিএমও। কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনা করার দাবী তোলে দুই দলের প্রতিনিধিরা।

এখানেই শেষ নয়,তৃণমূলের তরফ থেকে কেন্দ্রপিছু নগদের সীমা ১০ হাজার টাকা করায় আপত্তি জানানো হয়। গত নির্বাচনে নগদে খরচের সীমা ছিল ২০ হাজার টাকা। সেখানে এবার খরচ এবং ডোনেশন নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সীমা ১০ হাজার টাকা করার বিরুদ্ধে সওয়াল তোলেন পার্থবাবু-সুব্রতবাবুরা।

সুব্রত বক্সির বক্তব্য,রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে খরচের এই মাপকাঠি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব হতে পারে না। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন থেকে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল,অপরাধের অভিযোগ রয়েছে যেসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে,তাঁদের অন্তত তিনটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের অপরাধ সম্পর্কে আমজনতাকে অবহিত করাতে হবে। এতেও আপত্তি জানায় তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের দাবী,বিজ্ঞাপন করার হলে কমিশন নিজের খরচায় করবে।

উল্লেখ্য,এদিন অর্থাৎ বুধবার রাজ্যের সব জেলায় ওসি ইলেকশনদের প্রশিক্ষণ শিবির হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে লোকসভা ভোটের স্বার্থে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হবে বলেই জানা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। কমিশনের তৎপরতা সাফ ইঙ্গিত দিচ্ছে,লোকসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!