রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তনীর বিশেষ খবর রাজ্য May 6, 2018 দলটা নরেন্দ্র মোদীর নামে চলছে, আর দলের কেন্দ্রীয় ফান্ড থেকে যে টাকা আসছে রাজ্য বিজেপিতে সেই টাকার লুট চলছে। চারজন নেতার মধ্যে টাকা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। আর কেন্দ্রের কিছু নেতার কাছে টাকার অংশ যাচ্ছে। বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সব জেনে বুঝেই চুপচাপ বসে আছে – এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনদশক ধরে বিজেপি শিবিরে যুক্ত থাকা ‘প্রাক্তন বিজেপি নেতা’ অশোক সরকার। এতদিন তিনি রাজ্যে বিক্ষুব্ধ বিরোধী শিবিরে থাকলেও গত শুক্রবার তিনি নাম লেখালেন শিবসেনার শিবিরে। শিবসেনার রাজ্য সভাপতি শান্তি দত্তের উপস্থিতিতে সদর্পে ঘোষণা করেন তিনি, যে হিন্দুত্বকে সমর্থন করবে আমরা তাদের দলে। কিন্তু কেন বিজেপি থেকে বিতাড়িত হলেন তিনি? রাজনৈতিক সূত্রের খবর, অনেকদিন ধরেই বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ত্ব নিয়ে বেসুরো গাইছিলেন তিনি, সবশেষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একেবারে আদালতে মামলা ঠুকে দেওয়াতে চরম অস্বস্তিতে দিলীপবাবু। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের সেটাও একটা বড় কারণ হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে শিবসেনা সেভাবে শক্তিশালী নয়, তার উপরে সদ্য সদ্য শিবসেনা ঘোষণা করেছে তারা আর এনডিএ জোটে থাকছে না, এই পরিপ্রেক্ষিতে শিবসেনার যোগ দেওয়ার কারণ কি? প্রাক্তন বিজেপি নেতার মতে, বিজেপি নাকি রাজনৈতিক ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে! যাঁদের নাকি কোথাও জায়গা হয় না তাঁরাই নাকি এখন বিজেপিতে এসে ভিড় জমান! আগামী লোকসভা নির্বাচনে অশোকবাবুর বর্তমান দল শিবসেনা ৪২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে রাজ্য থেকে – এ আশ্বাসও দেন তিনি। এমনকি সৌরভ সরকার শিবসেনার টিকিটে মহেশতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানান তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে বিজেপি ও শিবসেনা একই পথের পথিক। তার উপরে বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। তাই শিবসেনা ৪২ তো লোকসভা আসনে প্রার্থী দিলে, তা বিজেপির ভোট কেটে আখেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সুবিধা হওয়ার কথা। আর তাই অশোকবাবুর এই দলবদল, বিজেপিকে ধাক্কা দিতে মুখ্যমন্ত্রীর সুকৌশলও হতে পারে। সবমিলিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অশোকবাবুর এই দলবদল এবং তার সাথেসাথেই বঙ্গ-বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ত্বকে তীব্র আক্রমনে জর্জরিত করে দেওয়া আগামী লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -