এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মেয়াদ শেষে প্রশাসক বসলেও পৌরসভায় কর্তৃত্ব ও “সুবিধা” ছাড়ছেন না প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সিআইসি বলে অভিযোগ

মেয়াদ শেষে প্রশাসক বসলেও পৌরসভায় কর্তৃত্ব ও “সুবিধা” ছাড়ছেন না প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সিআইসি বলে অভিযোগ

গত বছরের 20 অক্টোবর পানিহাটি পুরসভার পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর নিয়ম মত পুরোবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা চলে যায় মহকুমা শাসক বা সরকারি প্রশাসকের হাতে। আর এইখানেও তাই হয়েছে। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পানিহাটি পুরসভার দায়িত্ব নিয়েছেন ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম।

আর এতো পর্যন্ত সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলেও বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যান থাকার সময় ঠিক যেভাবে পুরসভায় এসে নিজের অফিস চালাতেন পানিহাটি পুরসভার এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ঠিক একইভাবে তিনি এখনও প্রতিনিয়ত অফিসে এসে তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন এই পুরসভার কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি পুরসভারই প্রাক্তন একজন সিআইসি পুরসভার গাড়ি ব্যবহার করে অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকের কাছে একটি অভিযোগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন কাউন্সিলার। সূত্রের খবর, পুরসভার প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলামের কাছে কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এক লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গত বছরের কুড়ি অক্টোবর এই পানিহাটি পুরসভার পুরো বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষ প্রতিনিয়ত পুরসভার অফিসে এসে তাঁর চেম্বারে বসছেন।

পাশাপাশি সোমনাথ দে নামে একজন প্রাক্তন সিআইসি নিয়মিত পুরসভা এসে আগের মতো নিজের চেম্বারে বসার পাশাপাশি পুরসভার গাড়িও ব্যবহার করছেন। আর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পুরসভায় এইভাবে আদৌ প্রতিনিয়ত আসা যায় কিনা এবং পুরসভার অধিকারে থাকা গাড়ি ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়েই এবার সেই প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং সিআইসির বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সত্যিই কি তাঁরা এখনও প্রতিনিয়ত পুরসভার অফিসে গিয়ে পুরসভার চেম্বারে বসার পাশাপাশি গাড়ি ব্যবহার করেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষ বলেন, “আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে পৌরসভায় যাই। চেয়ারম্যানের কোনো কাজ আমি করি না। না জেনে নির্বোধের মত কেউ কেউ এই ধরনের অভিযোগ করছেন।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন সিআইসি সোমনাথ দে বলেন, “জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয় নাগরিক হিসেবেই আমি পৌরসভায় যাই। তবে নিজের চেম্বারে বসি না। আর অভিযোগকারী যে গাড়ির নম্বর দিয়ে আমি চরে বেড়াই বলে অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়। ওই গাড়িতে এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং ফিনান্স অফিসার চড়েন। আমি অন্য একটি নম্বরের চেয়ারম্যানের নিজস্ব গাড়িতে চড়ি। আসলে প্রচারের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন জায়গায় এসব অভিযোগ করে বেড়ানো হচ্ছে।”

অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর এর কাছ থেকে এহেন অভিযোগ পেয়ে পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম এদিন বলেন, “একটা অভিযোগ পেয়েছি। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুরসভার বাসিন্দা হিসেবে যে কেউ পৌরসভাতে আসতেই পারেন, কিন্তু চেম্বারে বসে কোনো কাজ করা যায় না। বিষয়টি এক্সিকিউটিভ অফিসারকে খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে এই ঘটনায় প্রশাসকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেই পানিহাটি পৌরসভার কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্ময় বন্দোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এবার মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বসা সত্ত্বেও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সিআইসির পুরোসভায় নিয়মিত এসে সুবিধা ভোগ করছেন বলে প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!