বিজেপিকে বর্বর-অসভ্য ‘প্রতিপন্ন’ করতে গিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন বাংলার হেভিওয়েট প্রাক্তন সাংসদ কলকাতা রাজ্য October 13, 2019 বঙ্গ রাজনীতি ৩৪ বছর ধরে শাসন করে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমতা হারাতে হয় বামফ্রন্টকে। আর তারপর থেকেই তাদের রক্তক্ষরন অব্যাহত! তবে, ২০১১ সালের থেকেও বড় ধাক্কা বামফ্রন্টকে খেতে হল ২০১৯ সালে এসে। একদা যে দল গোটা দেশের প্রধান বিরোধী দল ছিল, তা সংকুচিত হতে হতে মাত্র ৩ রাজ্য – বাংলা, কেরালা ও ত্রিপুরাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বাংলা ২০১১ সালে হাত থেকে যাওয়ার পর, ত্রিপুরাতেও বিজেপির কাছে পরাভূত হতে হয় বামফ্রন্টকে। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা এসেই নজিরবিহীন বিপর্যয় নেমে এসেছে বাম শিবিরে। ত্রিপুরার পর বাংলাতেও কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে আসনসংখ্যা শূন্যতে নেমে এসেছে। শুধু তাই নয়, একটি মাত্র আসন ছাড়া বাকি সব আসনে জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বাম প্রার্থীদের! বাম শিবিরের বাংলায় ক্ষমতার ফেরার স্বপ্ন শুধু ধুলোয় মিশেই যায় নি, একই সঙ্গে বিরোধী পরিসর হারাতে হয়েছে বিজেপির কাছে! স্বাভাবিকভাবেই, তৃণমূলের থেকেও বাম নেতাদের কাছে এখন বেশি গাত্রদাহের নাম বিজেপি। আর তাই সেই গেরুয়া শিবিরকে নজিরবিহীন আক্রমন করতে গিয়ে, এবার মুখ পুড়ল প্রাক্তন হেভিওয়েট বাম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম শিবিরের অন্যতম হৃদয়ের মানুষ জ্যোতি বসুকে উদ্ধৃত করে নিজের ট্যুইটারে নজিরবিহীন আক্রমন করে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম লেখেন, বিজেপিকে অসভ্য ও বর্বরের দল বলেছিলেন জ্যোতি বসু। বিজেপির এই বর্বরতাকে আটকাতে দায়িত্ব নিতে হবে সাধারণ মানুষকেই। আমরা রামকৃষ্ণ-স্বামীজি পড়েছি। ওনারা কখনও বলেননি নিজের ধর্মকে ভালোবাসো আর অন্য ধর্মকে ঘৃণা কর। আর বিজেপি বিরোধী এই মন্তব্যের জন্য তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিজেপির আইটি সেলকে এবার নজিরবিহীন আক্রমনের পথে হেঁটেছেন হেভিওয়েট এই বাম নেতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নিজে ট্যুইটারে বিষ ছড়াচ্ছে, আর যাঁরা সম্প্রীতি-সৌভ্রাতৃত্বের কথা বলছে, তাঁদের আওয়াজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, আমাদের থামাতে পারবে না। আমাদের থামানো য়াবে না। ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি বাংলার মানুষ মানবে না। তাঁরা এর যোগ্য জবাব দেবে। ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি থেকে মানুষকে দূরে রাখতে হবে। আর সেই কাজ একমাত্র করতে পারে সিপিএমই। তবে, ‘ঘৃণা’ ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া ‘ট্যুইটার অ্যাকাউন্টটি’ মহম্মদ সেলিম কবে ফেরত পাবেন বা আদৌ পাবেন কিনা তা এখনও জানা যায় নি। আপনার মতামত জানান -