দল ছাড়লেন শাসকদলের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রীর স্ত্রী, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে জাতীয় October 22, 2019 নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপির ‘স্বর্ণযুগের’ যে সূচনা হয়েছে – সেখানে অন্যতম বড় কাঁটা ছিল পাঞ্জাব। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রথম পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনেই গেরুয়া শিবিরকে প্রথম ধাক্কা খেতে হয়। ক্যাপ্টেন আমরিন্দর সিংয়ের হাত ধরে বিজেপি-শিরোমনি আকালি দলের হাত থেকে পাঞ্জাব ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেস। তার থেকেও বড় কথা, ওই নির্বাচনেরকিছুদিন আগেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ পদ ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু। ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে সিধু এরপরে আমরিন্দর-মন্ত্রীসভার তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হন। কিন্তু, এরপর থেকেই আমরিন্দর সিং তথা কংগ্রেসের সঙ্গে ফাটল চওড়া হতে থাকে তাঁর। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে, পাঞ্জাবের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন আমরিন্দর সিং তো সরাসরি অভিযোগই করে বসেন যে তাঁকে সরিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে চিয়াছেন সিধু। এরপর লোকসভা নির্বাচন মিটলে সিধু পাঞ্জাবের মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এবার পাঞ্জাবের শাসকদল কংগ্রেসের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধুর স্ত্রী নভজ্যোৎ কৌর একেবারে সরাসরি কংগ্রেস থেকেই পদত্যাগ করে ফেললেন। যে খবর সামনে আসতেই পাঞ্জাবের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। এমনিতেই আমরিন্দর ও সিধুর লড়াই নিয়ে উত্তপ্ত ছিল পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরমহল। কিন্তু, এবার সিধুর স্ত্রী একেবারে দলত্যাগ করায় জল্পনা আরও চরমে উঠল। এবার কি তাহলে সিধু ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই গেরুয়া শিবিরে ফিরে যাবেন? নাকি অন্য কোন রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। এদিকে, পাঞ্জাবের কংগ্রেস শিবিরের ভিতরের খবর, চন্ডীগড় লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে সিধুর স্ত্রী কংগ্রেসের টিকিট প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি এই নিয়ে সরাসরি হাইকম্যান্ডের কাছে তা দাবি করেছিলেন – কিন্তু তা না পাওয়াতেই এই দলত্যাগ। কেননা কিছুদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, পার্টি হাইকম্যান্ড তাঁকে চন্ডীগড়ের টিকিট দিতে চাইলেও ক্যাপ্টেন আমরিন্দর সিং নাকি তা আটকে দিয়েছেন! আর তাই তার ফলে তিনি দল ছাড়ার মত চরম পদক্ষেপ নিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -