রাজ্য নেতৃত্বে ডাকা বৈঠকে গরহাজির প্রাক্তন মন্ত্রী, জোর জল্পনা উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য September 13, 2019 সম্প্রতি মালদা ইংরেজবাজার পুরসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভায় নিহার রঞ্জন ঘোষ এর বিরুদ্ধে 15 জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। দলীয় নেতাদের অনুমান বিক্ষুব্ধদের নেতৃত্বে আছেন প্রাক্তন পৌর প্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। অনাস্থা প্রস্তাব কাটাতে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের কলকাতার বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠক গরহাজির ছিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। বৈঠকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট নির্দেশ দেন অনাস্থা প্রস্তাব তুলে নেওয়ার। কিন্তু 10 দিন পরেও অবস্থা যেখানে ছিল সেখানেই আছে। ফলে পুরবোর্ডের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। নিয়ম অনুযায়ী, যদি কখনো পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয় তখন পুরপ্রধানকে তার 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোটে যেতে হয়। আর 15 দিনের মধ্যে শেষ তম দিন ছিল এদিন। এ বিষয়ে মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, “পুরপ্রধান দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁকে একদিন জেলে যেতেই হবে।” অনাস্থা প্রস্তাব রীতিমত খারিজ করে দিয়ে তাঁর জবাব, “অনাস্থা- চিঠির 15 দিনের মধ্যে আস্থা ভোটে যেতে হয় পুরপ্রধানকে। তিনি আস্থা ভোট না করলে 7 দিনের মধ্যে সভা ডাকবেন উপ পুরপ্রধান। তিনিও না ডাকলে সভা ডাকতে পারেন তিনজন কাউন্সিলর এক হয়ে। তাই মাঝপথে অনাস্থা প্রত্যাহারের কোনো নিয়ম নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে বর্তমান পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আস্থাভোটে যাবেন না। এ বিষয়ে তিনি জানান, “আমার বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি ভিজিল্যান্স হোক। দুর্নীতি নয়, আড়াই বছরে মানুষের জন্য কাজ করেছি।” দলীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাবার পরে নীহার রঞ্জন ঘোষকে সরিয়ে নিজের বিশ্বাস ভাজন কাউকে দলের পুরপ্রধান পদে বসাতে পারেন। ইংলিশ জেলার অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা জানান, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুব সুবিধাজনক অবস্থায় নেই ঠিকই, কিন্তু ইংরেজবাজার যেহেতু তাঁর নিজস্ব এলাকা তাই সেখানে ক্ষমতা প্রসারের জন্য পুরভোট ও বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে পুরো কর্মপদ্ধতি বিস্তার করছেন। তবে রাজনৈতিক দলের একাংশের মত, তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পশ্চিমবঙ্গের জমি অনেকটাই হারিয়েছে। যা পরবর্তীতে তাদের অনেকটাই পিছিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -