এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলে ফেরত এসেই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়ালেন প্রাক্তন মন্ত্রী, শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে

দলে ফেরত এসেই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়ালেন প্রাক্তন মন্ত্রী, শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই কমছে না তৃনমূলে। এবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের করিম চৌধুরী বনাম কানয়াইয়ালাল আগরওয়ালের দ্বন্দ্ব চরমে উঠল। জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের নিযুক্ত অঞ্চল সভাপতিরা অবৈধ বলে দাবি করলেন তৃনমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী।

বস্তুত, প্রায় একমাস আগে এক কানাইয়ালাল আগরওয়াল ইসলামপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে জাকির হুসেনের নাম ঘোষণা করেন। আর সভাপতি হওয়ার পরেই জাকির সাহেব দ্রুত এই ব্লকের ১০টি অঞ্চল কমিটির সভাপতিদের নিয়োগ করে ফেলেন।

কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেই কানাইয়ালাল আগরওয়াল বা জাকির সাহেবের সিদ্ধান্তকে মান্যতা না দিয়ে করিম চৌধুরী পৃথকভাবে ইসলামপুর টাউন ও ব্লক কমিটি ঘোষণা করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর এর পরেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। করিম চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ঘোষিত কমিটিই চূড়ান্ত।

অন্যরা যে কমিটি গঠনের কথা বলছেন তা অবৈধ। তিনি আরও বলেন, “কানাইয়ালাল আগরওয়াল বেআইনি ভাবে সভাপতি করেছেন। এমএলএ ছাড়া অন্য কেউ ব্লক বা অঞ্চল কমিটি করতে পারেন না। অঞ্চল কমিটিও অবৈধভাবে করা হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “জাকিরকে সভাপতি করা হয়েছে। তিনি অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ করতেই পারেন।”

এদিকে এই ব্যাপারে জাকির হুসেন বলেন, “দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি কাজ করছি। ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১০টি অঞ্চলের সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। ইসলামপুর, গাইসাল-১ এবং সুজালিতে এখনও অঞ্চল সভাপতি করা হয়নি। শীঘ্রই সেকাজ হবে।” বস্তুত, গত ২৮ জুলাই আবদুল করিম চৌধুরী তাঁর বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের ব্লক ও শহর কমিটির ঘোষণা করেন। যেখানে তিনি ব্লক সভাপতি হিসেবে তাঁর ছেলে মেহেতাব চৌধুরী ওরফে গোরাকে নিয়োগ করেন। আর অপরদিকে গঙ্গেশ দে সরকারকে টাউন সভাপতি পদে বহাল রাখেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি আগডিমটিখন্তি অঞ্চলেও নতুন করে কমিটি করে দেন। কিন্তু স্থানীয় বিধায়কের এইভাবে কি কমিটি করার এক্তিয়ার রয়েছে! যেখানে জেলা সভাপতি পৃথক কমিটি আগেই করে দিয়েছেন! এই ব্যাপারে আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই তিনি এই নতুন কমিটি করেছেন। আর এই ঘটনা ফের উত্তর দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে কানাইয়ালাল আগরওয়াল বনাম করিম চৌধুরীর দ্বন্দ্বকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মতে, ইসলামপুরে করিম-কানাইয়ার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। মাঝে বিধানসভা উপনির্বাচনে করিম সাহেব দলের প্রার্থী হলে কানাইয়াকে তাঁর হয়ে প্রচারে দেখা যায়। কিন্তু তখনই দলের একাংশ সংশয় প্রকাশ করে, এই জুটি স্থায়ী হবে নাকি। আর পরবর্তীতে তাই হয়েছে।

আর তাই এবার এই দ্বন্দ্ব মেটাতে দলের কর্মীরা রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ দাবি করছে। কারন যদি এই দ্বন্দ্ব না মেটে তাহলে আগামী পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে দলকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সবমিলিয়ে একসময় কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে আপত্তিতে দল ছাড়া করিম চৌধুরী ফের দলে আসলে এবার দলীয় কমিটি নিয়ে সেই কানাইয়ালালবাবুর সঙ্গে করিম চৌধুরীর দ্বন্দ্ব উত্তর দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ খেলতে শুরু করল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!