এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > দায়িত্ত্ব পেতেই ‘ম্যাজিক’ শুরু মুকুল রায়ের – তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে প্রাক্তন হেভিওয়েট সাংসদ

দায়িত্ত্ব পেতেই ‘ম্যাজিক’ শুরু মুকুল রায়ের – তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে প্রাক্তন হেভিওয়েট সাংসদ


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২২ টি আসন পাখির চোখ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর। কিন্তু রাজ্য-রাজনীতিতে মহীরুহ হয়ে ওঠা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে তা অর্জন করা যে সহজসাধ্য নয় – সেকথা মেনে নেবেন যেকোন রাজনীতির কারবারি। বিশেষ করে যেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চান দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে উৎপাটন করতে এবং সেই লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের ৪২ এ ৪২ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আর তাই, বাংলায় এই অসাধ্যসাধন করতে অমিত শাহদের ভরসা এখন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত ২ নম্বর নেতা মুকুল রায়। আর তাই গেরুয়া শিবিরের ক্রমশ বড় ভরসা হয়ে উঠছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে রাজ্যে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের আহ্বায়কের মত গুরুত্ত্বপূর্ন পদ দেওয়া হয়েছে। ফলে, বার্তা খুব স্পষ্ট – বিজেপির কাঙ্খিত লক্ষ্য এবার পূরণ করার দায়িত্ত্ব মুকুল রায়েরই। আর পদ পেয়ে চুপ করে বসে নেই প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় নিজেও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। এমনকি, শাসকদলের বেশ কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন নেতার সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ চলছে বলে জল্পনা রয়েছে। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং তৃণমূল-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মাঝে পুরুলিয়ার প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরহরি মাহাতো এক গোপন বৈঠকে বসেন মুকুলবাবুর সঙ্গে। দুই পক্ষের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং নরহরি মাহাতো মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে জানা গেছে।

এমনকি এই দলবদলের কথা ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফেও মেনে নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে জেলা নেতৃত্ত্বের তরফে জানানো হয়েছে – আদর্শচ্যুত হয়ে নিজের স্বার্থে যাঁরা দলবদল করেন তাঁদের জন্য দলের কোন ক্ষতি হবে না। নরহরি মাহাতর দলবদলে পার্টির কোন ক্ষতি হবে না। দলের কর্মীরা সবই দেখছেন, সুভাষ-অনুগামীরা কেউই ওঁর সঙ্গে বিজেপিতে যাবেন না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পদক পদ থেকে নরহারি মাহতকে সরিয়ে তাঁর স্থানে নতুন সম্পাদক হিসাবে মিহির মাঝিকে দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!