এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > দিল্লিতে গিয়ে দরবার সফল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন তৃণমূলমন্ত্রী

দিল্লিতে গিয়ে দরবার সফল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন তৃণমূলমন্ত্রী


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই লড়তে এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য তথা রাজ্য-রাজনীতিতে ‘অধীর চৌধুরীর ডানহাত’ হিসাবে খ্যাত হুমায়ুন কবীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শাসকদলের ‘সন্ত্রাসের’ প্রতিবাদ থেকে নির্বাচন থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন তিনি, আর তার পরের দিনই তোপ দেগেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করার মতো মানসিক শক্তিই নেই কংগ্রেসের! ফলে জল্পনা চলছিল তখন থেকেই, তাহলে কি এবার তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? ভেঙে কিছুই বলেননি সেদিন। কিন্তু সূত্রের খবর, এরপরেই তিনি দিল্লি উড়ে যান এবং সেখানে গিয়ে দফায় দফায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। আর সেই আলোচনাতেই মিলেছে সবুজ সংকেত, কলকাতায় ফিরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার এই প্রাক্তন সদস্য।

অধীর চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা সুদীর্ঘ ৩৬ বছর আগে, তারপর ধীরে ধীরে sthan পাওয়া রাজ্য-রাজনীতিতে। ২০১১ সালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট প্রার্থী হয়ে রেজিনগরের বিধায়ক হন, কিন্তু তারপরেই ‘রাজনৈতিক গুরু’ অধীর চৌধুরীর হাত ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীসভার। কিন্তু এরপরেই হেরে যান রেজিনগর উপনির্বাচনে, ইতি পরে ৬ মাসের মন্ত্রীত্ত্বের। দূরত্ত্বও বাড়তে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে, এমনকি ‘দলবিরোধী কার্যকলাপের’ জন্য শোকজ করা হয় তাঁকে শাসকদল থেকে। ২০১৬ সালে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রেজিনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেলেও, তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রমান রাখেন। আর তারপরেই বরফ গলতে থাকে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে, ফিরে যান কংগ্রেসে, টিকিটও পান জেলা পরিষদ আসনের। কিন্তু শাসকদল ও পুলিশের ‘গুন্ডামির’ অভিযোগে নির্বাচনের দিন সকালে সরে দাঁড়ান নির্বাচন থেকে, আর তার পরের দিনই তোপ দাগেন, কংগ্রেস লড়াই করে জেতার মানসিকতা দেখাতে পারেনি! আর এবার তাই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তিনি দলবদল করে বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!