এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > কোনও দিশা নেই, নেতৃত্বের অভাব, দুর্নীতি – বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী

কোনও দিশা নেই, নেতৃত্বের অভাব, দুর্নীতি – বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ ক্রমশই যেন বেআব্রু হয়ে পড়ছে! আর এবার দলের বিরুদ্ধে একরাশ বিস্ফোরক অভিযোগের পাশাপাশি নিজের চরম সিদ্ধান্তের কথা বলে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন একদা তৃণমূলের দাপুটে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। প্রবল বাম জমানাতেও যাঁকে ইংলিশবাজারে হারানো যেত না, সেই তিনিই তৃণমূলে এসে হারের স্বাদ পান। শুধু তাই নয়, যাঁর কাছে হারতে হয়েছিল, সেই নীহাররঞ্জন ঘোষকে মাথায় তুলে নেয় কৃষ্ণেন্দুবাবুর নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তারপর থেকেই দলে ক্রমশ কোনঠাসা হতে থাকেন কৃষ্ণেন্দুবাবু বলে জল্পনা ছড়ায়। আর সেই কৃষ্ণেন্দুবাবুই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে যা বললেন তাতে চমকে গেল রাজনৈতিক মহল। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, জেলায় দলের কোনও দিশা নেই, নেতৃত্বের অভাব। দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে দলের একাংশের মধ্যে – টাকা নিয়ে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ উঠছে। এতে দলের মর্যাদাহানি হচ্ছে। তাই দলের টিকিটে আর কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হতে চাই না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, কৃষ্ণেন্দুবাবুর কথা অনুযায়ী, দলের জন্য তিনি অনেক স্বার্থত্যাগ করলেও প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা দলের পর্যবেক্ষক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং গোলাম রব্বানিকে মাসখানেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। কিন্তু তাঁর এই ‘অভিমানের’ কথা শীর্ষ নেতৃত্ব জানে? কৃষ্ণেন্দুবাবুর কথায়, তিনি এইসব হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে জানালেও, তিনি নাকি কোনও গুরুত্বই দেননি!

স্বাভাবিকভাবেই, প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি এবার বিজেপির পথে পা বাড়াতে চলেছেন তিনি? সাবধানী কৃষ্ণেন্দুবাবুর উত্তর, ‘মমতাদি’ তাঁর নেত্রী, তাই দল ছেড়ে আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না। তিনি মনে করেন মমতা ব্যানার্জি তাঁদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, তাঁরাও তৃণমূল নেত্রীর জন্য প্রাণপণ খেটেছেন। কিন্তু, বর্তমানে অন্য দল থেকে এসে অনেকে তৃণমূলে নেতা হয়ে যাচ্ছেন বা সরকারি পদেও বসছেন। আর তাঁরাই পুরনো কর্মীদের অসম্মান করছেন, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!