এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির ‘অফার’ ছিল, পছন্দ হয় নি! দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক

বিজেপির ‘অফার’ ছিল, পছন্দ হয় নি! দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক


লোকসভা নির্বাচনে এবার রাজ্যে বিজেপির প্রবল উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। গত ২০১৪ সালে তারা দুটি আসন পেলেও এবার তাদের দখলে এসেছে প্রায় ১৮ টি আসন। আর নির্বাচনে এই সাফল্যের পরই বাংলায় বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে শুরু করেন। যার জেরে নিজেদের শক্তি দিনকে দিন বৃদ্ধি হতে থাকে বিজেপির। আর এরই মাঝে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বাম বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষের বিজেপিতে যোগ দানের জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করে।

যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এমনকি বিজেপির সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ তুলে সিপিএমের পক্ষ থেকে বহিষ্কারও করা হয় এই প্রবীণ বাম নেতাকে। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ না দেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল এই ব্যাপারে এবার সিপিএমের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কোনোওদিনই নিজে থেকে আগ বাড়িয়ে কারও কাছে যাইনি। আমার সঙ্গে যদি কেউ কথা বলে, তাহলে আমিও বলি। বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছিল, আমার পছন্দ হয়নি। আমি না বলে দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই নিজের দল সিপিএমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে যে কেউ আসতেই পারে। মনে করা যাক আমি বিজেপি করব বলে মনস্থির করেছি। কিন্তু আমি যতক্ষণ না বিজেপিতে যোগদান করছি, ততক্ষণ কেউ বলতে পারে না যে আমি বিজেপি করেছি। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” পাশাপাশি এই ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কার করার অভিযোগে তিনি জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুমিত দের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন।

তবে সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, দলের বিরুদ্ধে যতই সোচ্চার হন না কেন সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ, তাঁর কাছে যে বিজেপি যোগের প্রস্তাব এসেছিল তা তিনি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। ফলে এখন তার সেই কথাকে পাথেয় করেই তার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে সিপিএম। এদিন এই প্রসঙ্গে সমর ঘোষের পাল্টা জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “সব সময় যে শোকজ করেই বহিষ্কার করতে হবে এমনটা নাও হতে পারে। সরাসরি বহিষ্কার করাও দলের গঠনতন্ত্রে রয়েছে।”

কিন্তু কার কথা ঠিক! সত্যিই কি করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক সমর ঘোষ তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নিলয় সাহা বলেন, “সমরবাবু আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে এখনও এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, এখনও পর্যন্ত তিনি দলে থাকলেও কেন তাঁর বিরুদ্ধে এইভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এখন তা নিয়ে নিজের দলের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বাম বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!