এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এক্সিট পোল ইঙ্গিতবাহী হলে ৪২ এ ৪২ এর সঙ্গে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নেরও কি অপমৃত্যু?

এক্সিট পোল ইঙ্গিতবাহী হলে ৪২ এ ৪২ এর সঙ্গে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নেরও কি অপমৃত্যু?

সবে গত রবিবার শেষ হয়েছে প্রায় দেড় মাস ব্যাপী দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। আর তারপরেই সামনে আসতে শুরু করেছে একে একে বিভিন্ন সংস্থার করা বিভিন্ন এক্সিট পোল। আর প্রায় সব এক্সিট পরেই নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি বাংলায় বিজেপির তীব্র উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাস্তবে কি হবে তা অবশ্য স্পষ্ট হবে আগামী ২৩ শে মে ইভিএম বাক্স খুললে – কিন্তু তা যদি সামান্যতমও এক্সিট পোলের ইঙ্গিতবাহী পথে হয়, তাহলে বলতেই হবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বড়সড় ধাক্কা হতে চলেছে।

কেননা নির্বাচনের শুরু থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই বলে আসছিলেন, তাঁর দল এবার ৪২ এ ৪২ পাবে বাংলা থেকে, শুধু তাই নয় – এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকার থেকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। তাঁর দলীয় শীর্ষ নেতা থেকে কর্মীরা অবশ্য আরও একধাপ এগিয়ে দাবি করছিলেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাস্তবে তা হবে কি হবে না তার জন্য অবশ্যই আমজনতাকে অপেক্ষা করতে ২৩ শে মে পর্যন্ত। কিন্তু, এক্সিট পোলের হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২ এ ৪২ এর স্বপ্নের তো বটেই, সলিল সমাধি ঘটিয়ে দিয়েছে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের স্বপ্নেরও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে বাঙালির স্বপ্নকে উস্কে দিয়ে তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সামনে অবশ্য এসেছিল প্রধানমন্ত্রীত্বের সুযোগ। কিন্তু, তাঁর দলের ‘ঐতিহাসিক ভুলের’ খেসারত দিয়ে অবশ্য তাঁর আর দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া হয় নি। আর তাই, এবার নির্বাচনের শুরু থেকেই ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ স্বপ্ন উস্কে দিয়ে প্রচারে নেমেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেই প্রচার কতটা সাফল্যের মুখ দেখল, তা অবশ্যই বোঝা যাবে ফল গণনার শেষে। কিন্তু, এক্সিট পোলেই স্পষ্ট ইঙ্গিত – এই প্রচার আখেরে ‘ব্যুমেরাং’ হয়ে গেছে। কেননা, এটা রাজ্যের নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার। আর সেক্ষেত্রে, একটি আঞ্চলিক দল হয়ে সর্বাধিক ৪২ টি আসন নিয়ে কি করে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তৃণমূল নেত্রী – এই প্রশ্নই কিন্তু ভোটারদের তাড়া করে বেরিয়েছে।

উল্টে, সমীক্ষায় যেটা দেখা যাচ্ছে, এর আগে বারবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হয়েছে। ভালো না খারাপ সেটা পরের কথা, কিন্তু ‘আয়ুষ্মান ভারতের’ মত প্রকল্প বাংলায় চলতে দেন নি তৃণমূল নেত্রী। আর তাই, ভোটারদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা গেছে – এই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত থেকে নিজেদের দূরে রাখতে, যে দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে পারে, তার হাত শক্ত করার প্রবণতা। যদিও, তার কতটা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে তা জানার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু, কেন্দ্র-রাজ্যের সুস্থ-স্বাভাবিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে গিয়ে রাজ্যবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত না করে, প্রতি পদক্ষেপেই কেন্দ্র বিরোধিতা কিন্তু মানুষ মোটেই সদর্থকভাবে নেন নি, বলেই সমীক্ষক দল মনে করছেন। আর সেই কারণেই বাংলায় বিজেপির তীব্র উত্থানের স্পষ্ট ইঙ্গিত প্রায় প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!