এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এক্সিট পোল দেখে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে, দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মরিয়া চেষ্টা

এক্সিট পোল দেখে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে, দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মরিয়া চেষ্টা

সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের পরেই গতকাল সন্ধে সাড়ে ছটা বাজার সাথে সাথেই বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা তাদের সমীক্ষা প্রকাশ্যে আনতে শুরু করে। যেখানে কেন্দ্রে ফের এনডিএ সরকার আসবার যেমন আভাস দেওয়া হয় ঠিক তেমনই রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপি 11 থেকে 22 টার মতো আসন পেতে পারে বলে জানিয়ে দেয় বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা।

আর এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই গোটা ঘটনাকে চক্রান্ত এবং তারা এই এক্সিট পোলে বিশ্বাস করে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা গোটাটাই একটা চক্রান্ত। আমি এই সমীক্ষায় বিশ্বাস করি না।” একইভাবে তৃণমূল নেত্রীর পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়, বাংলায় এবার 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই দখল করে কেন্দ্রে নির্ণায়ক শক্তির ভূমিকা পালন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, দলীয় কর্মীদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য তৃণমূলের সোশ্যাল সাইটের কর্মীরাও ময়দানে নেমে পড়ে।যেখানে একের পর এক পোস্ট করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা কর্মীরা জানাতে থাকে, মিথ্যে বলে, চক্রান্ত করে এই ধরনের এক্সিট পোল করা হয়েছে। ধৈর্য ধরুন, আগামী 23 মে 42 এ 42 টা আসনই তৃণমূল কংগ্রেস দখল করবে।

আর সোশ্যাল সাইটের তৃণমূল কর্মীদের এহেন দাবিকে ঘিরেই এবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

অনেকে বলছেন, আসলে বিগত দিনেও এরকম অনেক এক্সিট পোল হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা মিলেছে, আবার কখনও তা মেলেনি। কিন্তু তা নিয়ে সেই এক্সিট পোলকে কটাক্ষ করতে তেমনভাবে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি তৃণমূল কর্মীদের। তাহলে কি এবার হার নিশ্চিত এই আশঙ্কা থেকেই শেষ মুহূর্তে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল সাইটে তাদেরই জয় হচ্ছে বলে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে!

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন এই এক্সিট পোলেই ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গড়া তো দূর অস্ত, বাংলায় এক্সিট পোলে তৃণমূলের যে আসন কমানো হয়েছে তার থেকে আরো অনেক আসন কমবে তাদের। যেখানে বিজেপি তাদের টার্গেটে রাখা 23 টার বেশি আসন দখল করবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

সব মিলিয়ে দাবি পাল্টা দাবির মাঝেই এখন শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে থাকা ব্যালটবক্স খুললে বাংলায় পদ্মফুল নাকি জোড়াফুল ফোটে সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!