বন্ধ হয়ে যাবে ফেসবুক-হোয়াটস্যাপের মত সোশ্যাল অ্যাপগুলো? কেন্দ্রের পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা জাতীয় August 7, 2018 জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন ফেসবুক,ওয়াটস অ্যাপের মতো স্যোশাল মিডিয়াগুলো ব্যবহারের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। আসলে দেশজুড়ে ভুয়ো খবর ভাইরাল হওয়া বা সাম্প্রদায়িক খবর ছড়িয়ে পড়ার জেরে অসন্তোষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে,পাওয়া গেছে একের পর এক গনপিটুনির মতো ঘটনা। আর এসব খবর ভাইরাল হওয়ার জন্য দায়ী ফেসবুক এবং ওয়াটস অ্যাপ। আর এটাই মাথা ব্যাথার কারণ হয়েছে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় টেলিকম দপ্তরের আধিকারিকরা ওয়াটস অ্যাপ সংস্থাকে সতর্ক করেছে গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়ানোর ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকতে। তারপর থেকেই ব্যাপারটা নিয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ওয়াটস অ্যাপের তরফ থেকে। কিন্তু ওয়াটস্ অ্যাপে সতর্কতা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারছিল না কেন্দ্র। তাই এই সমস্যাকে মূল থেকে রোখার একটি সমাধানসূত্র চাইছে তারা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এর আগেও জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে স্যোশাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানো দাবী তুলেছিল কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক। সে দাবী নিয়ে মোদীসরকারকে তখন বেশি উচ্যবাচ্য করতে দেখা যায়নি। তাই ফের একবার সমস্যাটার সমাধানকল্পে বিকল্প পথের অনুসন্ধান করতে হয় টেলিকম মন্ত্রককে। প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছু নির্দিষ্ট বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবং এ ব্যাপারে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়াও হয়েছে মোদীসরকারের তরফ থেকে। তবে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনে ফেসবুক,ওয়াটস অ্যাপ,ইনস্টাগ্রাম বা টেলিগ্রামের মতো সোশ্যাল অ্যাপগুলো বন্ধ করার প্রয়োজন হলে সেগুলো কীভাবে করা সম্ভব,কোন প্রযুক্তিগত পথের মাধ্যমে সেটা করা যাবে,এটা ইতিমধ্যেই জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য গত ১৮ জুলাই ভারত সরকারের টেলি যোগাযোগ দপ্তর থেকে দেশের সব টেলিকম অপারেটর,ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এবং সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে,ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 69A ধারা অনুযায়ী জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনে স্যোশাল অ্যাপ গুলোকে বন্ধ করা যেতে পারে। এবং টেলি যোগাযোগ দপ্তরের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে,সম্প্রতি ফেসবুক,ওয়াটস অ্যাপ,ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ভুয়ো খবর ও গুজব ছড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে তাতে বেশ চিন্তিত তথ্য প্রযুক্তুআএবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত এজেন্সিগুলো। তবে এই স্যোশাল মিডিয়াগুলো হঠাৎ করে বন্ধ করা হলে চাপে পড়বে সোশ্যালমিডিয়াফ্রিক মানুষগুলো। এ খবর প্রকাশ্যে আসায় তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। তবে প্রশ্নটা যেখানে জাতীয় নিরাপত্তার সেখানে কেন্দ্র থেকে সোশ্যাল মিডিয়া কিছুকালের জন্য বন্ধ করে দিলে এ নিয়ে আপত্তি বা অসন্তোষের কোনো জায়গাই থাকতে পারে না। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। আপনার মতামত জানান -