প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছিল ফেসবুকের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠা নিয়ে। সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন ঘিরে বিরোধীরা সরব হয়েছেন ফেসবুক এবং বিজেপির হৃদ্যতার বিরুদ্ধে। আরো একবার বিরোধীরা সরব হয়েছে এবার হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত হোয়াটসঅ্যাপও ফেসবুকের মতনই মার্ক জুকারবার্গের। এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

আমেরিকার ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের একটি রিপোর্ট তুলে ধরে এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী জানান, হোয়াটসঅ্যাপ দেশে আর্থিক লেনদেন শুরু করতে চায়। আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতির অবশ্যই প্রয়োজন তাঁদের। আর সেখান থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাদের আঁতাত এবং হোয়াট্‌সআপের নিয়ন্ত্রণ বিজেপির হাতে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ফেসবুকে গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন জন যেভাবে উস্কানিমূলক, ঘৃণাসূচক, অশ্লীল মন্তব্য করে চলেছেন, তার বিরুদ্ধে ফেসবুক কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনা।

এমনকি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাঁরা ব্যাপারটি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি এখনো পর্যন্ত। শুধু রাহুল গান্ধী নয়, এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা এবং দলের তথ্য বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান প্রবীণ চক্রবর্তী। এদিন কংগ্রেস দাবি করেছে, 2012 সাল থেকেই বিজেপির সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কারণেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না তাঁরা। শনিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মার্ক জুকারবার্গকে একটি চিঠি লেখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলে জানা গেছে।

এর আগে গত 17 ই আগস্ট ফেসবুক ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছিলেন বেণুগোপাল। সেই চিঠির ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা জানতেই আজকের দ্বিতীয় চিঠি। অন্যদিকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে সংসদীয় কমিটি ইতিমধ্যেই সমন পাঠিয়েছে আর তা থেকেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, বিজেপি নেতৃত্ব কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকে হিংসাত্মক কথাবার্তা বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। তবে সেটা কোন নির্দিষ্ট দলের মানুষ করছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। আপাতত এই ফেসবুক কান্ড ঘিরে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।