এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কারখানা বন্ধে দলীয় নেতার দিকেই তোপ বিধায়কের, ফের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে!

কারখানা বন্ধে দলীয় নেতার দিকেই তোপ বিধায়কের, ফের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যেখানে তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দল সমস্যার মধ্য দিয়ে চলেছে, সেখানে দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একের পর এক কটাক্ষ সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা শাসকদলের। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধে তৃণমূলের বিধায়কের বিস্ফোরক মন্তব্যের জবাবে পাল্টা কতাক্ষ করতে দেখা গেছে দিলেন শ্রমিক নেতাকে। আর যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বস্তুত, রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের আরএল জুট মিলে মূলত পাটের সুতলি বানান হয় বলেই জানা গেছে। বিগত ২৫ বছর ধরেই পঞ্চাশ জন মত শ্রমিক নিয়ে এই জুট মিলটি চলছিল। সেখানে তৃণমুল ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টেট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন নামে একটি শ্রমিক সংগঠন সক্রিয় ছিল বলে জানা গেছে। যে ইউনিয়নের কর্মীরা খগেশ্বর রায় অনুগামী ছিলেন।

আর তাঁদের নেতা ছিলেন নারায়ণ বসাক। তবে সমস্যা হয়, এই মিলের শ্রমিকেরা মাত্র ২৪৮ টাকা করেই মজুরি পেতেন। যা শ্রম আইন অনুযায়ী ৩৫০ হওয়া উচিত। এছাড়া মিলের মালিক এবার পুজোয় কোনও বোনাসও দেননি বলেও অভিযোগ শোনা গিয়েছিল।

এমনই সব দাবি নিয়ে গত তিন মাস আগে আইএনটিটিইউসির স্বপন সরকার কিছু শ্রমিক নিয়ে নতুন করে একটি সংগঠন খোলেন বলে জানা যায়। আর এরপর থেকেই একই দলের দুই শ্রমিক সংগঠনের অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয় বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা দেখেন জুট মিলটি বন্ধ হয়ে গেছে।

ফলে কাজ হারিয়ে অসহায় শ্রমিকরা তৃণমূল নেতৃত্বের দারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের মন্তব্যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর তিনি জানিয়েছেন, তৃণমুল শ্রমিক নেতা স্বপন সরকার অযৌক্তিক দাবি তুলে মালিক পক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যার কারণেই নাজেহাল হয়ে মিল মালিক এরকম করেছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর মতে, এই পরিস্থিতিতে মিল চালাতে সমস্যা হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলে তাঁকেও নাকি কয়েকবার ফোন করেছিলেন মিল মালিক। আর সেখানে খগেশ্বর বাবু তাঁকে মিল বন্ধ না করে একসঙ্গে বসে সমাধানের পথ খুঁজবেন বলেও জানিয়েছিলেন বলে এদিন বলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকালে মিলে তালা লাগানোয় নতুন করে সমস্যা দেখা গেছে।

সেখানে এজন্য সম্পূর্ণ ভাবে স্বপন সরকারই দায়ী বলে অভিযোগ করতে দেখা গেছে মালিক পক্ষকে। সেইসঙ্গে স্বপন সরকারের পেছনে কে মদতদাতা রয়েছেন তাঁকেও খুঁজে বের করতে হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেন তিনি। এই ঘটনায় স্বপনবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে অস্বীকার করতে দেখা গেছে তাঁকে।

সেখানে নাম না করেই বিধায়ককে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পার্টি আর ট্রেড ইউনিয়ন এক নয়। এদিন তিনি বলেন “এতদিন বিধায়কের পেটোয়া ধান্দাবাজদের দিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করে কম মজুরি দিয়ে এবং তাঁদের প্রাপ্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে মিল মালিকের সঙ্গে মিলে শ্রমিক সংগঠন চলছিল। ফলে ন্যায্য বোনাস, হাজিরা বা মজুরি কিছুই পাচ্ছিলেন না শ্রমিকরা।”

তাঁর কথায়, তিনি এসে শ্রমিকদের সংগঠিত করে আন্দোলন করতেই অন্যদের আঁতে ঘা লাগে। তাই গতকাল রাতে কাউকে না জানিয়ে ওরা মিলে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ওই মিলের শ্রমিকদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই শ্রম দফতরে অভিযোগ জানানোর পরে শ্রম দফতর দুবার মিটিং ডাকে।

কিন্তু মালিক পক্ষ একবারও আসেনি। তবে এই ঘটনার পর তিনি আবার শ্রম দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। শ্রম দফতর জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকবে বলে তাঁকে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে, স্বপনবাবুর এই বিষয়টি মেনে না নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা সভাপতিকে লিখিত ভাবে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!