প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছর মার্চ মাসের সময় থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনীকে নিয়ে। যেখানে গত বছর 15 মার্চ রাত সোয়া দুটোর সময় থাইল্যান্ড থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং তার বোন মেনকা গম্ভীরা। অভিযোগ, সেই সময় শুল্ক দফতরের অফিসাররা তাদের মালপত্র তল্লাশি করতে গেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী তাদের বাধা দেন।

এমনকি শুল্ক দফতরের অফিসারদের ধমক দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর এরপরেই বিমানবন্দর থানার পুলিশ সাংসদের স্ত্রী এবং তার বোনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। যা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়। আর এর পরের দিনই বিমানবন্দর থানায় গিয়ে এই ব্যাপারে শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মীনি। পরবর্তীতে গত বছরের 22 মার্চ পাল্টা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুল্ক দফতরের অফিসারেরা। যার রীতিমত উত্তেজনা তৈরি হয়।

সোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। সহধর্মিনীকে নিয়ে বিমানবন্দরে এই অশান্তির ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার এই ঘটনা নিয়ে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুল্ক দফতরের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং তার বোনের বিরুদ্ধে পাঠানো সমন সম্পূর্নরূপে খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

মূলত ওই দুটি সমনে গত বছরের 28 এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী এবং তার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করেন তৃণমূল সাংসদের স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং তার বোন মেনকা গম্ভীরা। আর অবশেষে এই ব্যাপারে বিচারপতিদের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী এবং তার বোন।

জানা গেছে, দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শুল্ক দফতরের এই পদ্ধতিকে আইনবিরুদ্ধ বলা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে যে, এই ঘটনায় শুল্ক দফতরের অধীন কোনো এলাকায় আইনভঙ্গ হয়ে থাকলে, তা তারা তদন্ত করে দেখতে পারে। অর্থাৎ শুল্ক দফতরের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী এবং তার বোনকে সমন পাঠানো হলেও, তা যে আদালতের বক্তব্যে কার্যত ভিত্তিহীন হয়ে গেল, তা পরিষ্কার সকলের কাছে‌।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন এই গোটা ঘটনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল‌। অস্বস্তিতে পড়ে ছিল বন্দোপাধ্যায় পরিবার। তবে এবার আদালতের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সবুজ সংকেত পেয়ে বড়সড় স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আদালতের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসলে শুল্ক দফতরের পক্ষ থেকে আবার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা এবং ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়ে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।