ভুঁইফোড় সংস্থার ঋণশোধ করতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করতে হল কৃষককে, তুলকালাম শুভেন্দু-গড় মেদিনীপুর রাজ্য July 28, 2018 ভুঁইফোড় সংস্থা থেকে ঋন নিয়েছিলেন। কিন্তু তা শোধ করতে না পারায় শেষমেষ কিডনি বিক্রি করতে হল এক চাষিকে। যা নিয়ে বর্তমানে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এগরা 1 ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামে। জানা গেছে, এই গ্রামের পানচাষি নিমাই মাইতি একবছর আগে একটি সমিতি থেকে 2 লক্ষ টাকা ঋন নিলে পরবর্তীতে তার সুদ ও আসল মিলিয়ে তা 3 লক্ষের মত টাকায় দাড়ায়। আর এরপরই নাকি কোনো উপায় না দেখে নিজের কিডনি বেচে সেই ঋন পরীশোধ করার সিদ্ধান্ত নেন এই হতদরিদ্র পানচাষি। তবে নিজের কিডনি বেচার কথা সম্পূর্নরুপে অস্বীকার করেছেন নিমাই মাইতি। তাঁর বক্তব্য, কিডনি বিক্রি করেননি। বিজ্ঞাপন দেখে প্রশাসনিক সহ সবখানে জানিয়েই এক মহিলার জন্য তিনি এই কিডনি দান করেছেন।আর সেই সময় যে তিন লক্ষ টাকা তিনি পেয়েছিলেন সেখান থেকেই 1 লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের খরচ আর বাকি টাকা দিয়ে এবং জমি বিক্রি করে এই ঋন শোধ করেছেন তিনি। এদিকে নিমাইবাবু এই ঘটনা অস্বীকার করলেও কদিন আগে ঋন শোধ করতে না পারার জন্য ওই সমিতির তরফ থেকে মহেশপুরের গরিব চাষি জয়ন্ত মাইতিকে মারধর ও তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। আর এরপরই ওই নিগৃহীত চাষির স্ত্রী 42 জনের নামে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই সমিতির দুই কর্তাকে গ্রেপ্তার করেন। আর এদিন ফের এই ঋন পরিশোধ করতে না পারার ঘটনায় দরিদ্র নিমাই মাইতির কিডনি বিক্রির ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী সভাপতি তথা তৃনমূলের ব্লক সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষে এসব করা সম্ভব নয়। তাও এর আগে এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছিল। প্রশাসন যদি দোষী সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেই তাহলে আমরা সবদিক থেকে সাহায্য করব।” শুধু এখানেই শেষ নয় ঋন শোধ করতে না পেরে যে 12 জন বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছেন, তাদেরও নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টার কথাও জানান তৃনমূলের সিদ্ধেশ্বর বেরা। তবে এতসবের পরে এগরার ওসি কৃষ্নেন্দু প্রধান অবশ্য বলেন, “কোথা থেকে, কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে এই সমিতি চলছে তা খোজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তদন্তে বেআইনি বলে প্রমানিত হলেই আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে ঋন পরিশোধ করতে না পারায় দরিদ্র চাষির কিডনি বিক্রির ঘটনায় হতবাক গ্রামের বাসিন্দারাও। আপনার মতামত জানান -