এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভরসা জুগিয়েছে “লংমার্চ”, কৃষক সংগঠনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর বৃহত্তর পরিকল্পনায় বামফ্রন্ট

ভরসা জুগিয়েছে “লংমার্চ”, কৃষক সংগঠনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর বৃহত্তর পরিকল্পনায় বামফ্রন্ট

2011 সালে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে বামেদের। আর সেই অতীতের সমস্ত দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে এবার বাংলায় নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মরিয়া আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কেননা সামনেই তো লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লোকসভা নির্বাচনে দলের শক্তি প্রতিষ্ঠিত করাই এরাজ্যের বাম নেতাদের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মূল সংগঠন যেখানে দুর্বল সেখানে কিভাবে হবে বামেদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া!

সূত্রের খবর, আর মূল সংগঠন নয়, এবার কৃষক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনকে দিয়েই মাঠে নামার প্রক্রিয়া নিচ্ছে বামেরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিঙ্গুর থেকে কলকাতা পদযাত্রা এবং রাজ্যের উত্তরকন্যা অভিযানের পর কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দুদিনের ধর্মঘটে সিপিএমের কৃষক সভার সক্রিয় ভূমিকা দেখে অনেকটাই খুশি রাজ্যের বাম নেতারা। আর তাই আগামী 3 ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে সেই কৃষক সভাকে দিয়েই প্রচার করিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথকে মসৃণ করতে চান সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সম্প্রতি সারা দেশজুড়ে ডাকা বামেদের দুদিনের ধর্মঘটে এই রাজ্যতে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে দলের কৃষকসভার সংগঠন। বিভিন্ন জেলা থেকে খবর নিয়ে দেখা গেছে যে, এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সেই কৃষক সভার সংগঠনের ব্যানারে মোট 84 টি জায়গায় রেল অবরোধ এবং জাতীয় ও রাজ্য সড়ক মিলিয়ে মোট 454 টি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। আর যেখানে সামিল হয়েছেন দলের কৃষকসভার অন্তত দু লক্ষ সমর্থক।

আর তাই এত দিন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিপিএমের মূল নেতৃত্ব প্রবল চেষ্টা করলেও সেখানে আশার আলো দেখিয়ে দলের কৃষকসভার সংগঠন কিছুটা হলেও যেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেছে তাতে আগামী 3 ফেব্রুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশকে সার্থক করতে সেই কৃষকসভার উপরই ভরসা রাখতে চলেছেন রাজ্যের বাম নেতারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একসময় সিপিএমের কৃষক সভার সদস্য রেকর্ড সংখ্যায় থাকলেও রাজ্যে পালাবদলের পর বহু সদস্যই সেই সংগঠন ত্যাগ করতে শুরু করে।

কিন্তু এবার সেই কৃষক সভাকে দিয়েই দলের সমস্ত মহতী কর্মকান্ড পার করবার জন্য বামেদের মূল নেতৃত্ব ভরসা রাখলে সেই কৃষক সংগঠনের কলেবর আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “বিগত দুই দিনের ধর্মঘটে আমরা যথেষ্ট ভালো সাড়া পেয়েছি। এর আগে সিঙ্গুর পদযাত্রা ও উত্তরকন্যা অভিযানে সকলের উৎসাহ চোখে পড়েছে।

আসলে গ্রামের মানুষ মোদি ও মমতা সরকারের ধোঁকাবাজি ধরে ফেলেছে। কৃষিঝন মুকুব ও ফসলের ন্যায্য দাম দিয়ে তারা যে অথৈজলে পেরেছে তা টের পেয়েই কৃষকরা আমাদের কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছেন।” সব মিলিয়ে এবার রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক সংগঠনের ওপরই ভরসা রাখতে চলেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাম নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!