এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কিনা ঠিক করবেন মহিলা ও আদিবাসী ভোটাররাই? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

রাজ্যে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কিনা ঠিক করবেন মহিলা ও আদিবাসী ভোটাররাই? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় হয়ে গেছে বিধানসভা নির্বাচন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের তালিকায় পরের রাজ্য ঝাড়খণ্ড। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ড বিধানসভাকে মাথায় রেখে আগে থেকেই সেখানে দলবদল এর পালা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে 5 জন বিধায়ক বিরোধী থেকে বিজেপি দলে যোগ দিয়েছে। ফলে গেরুয়া শিবিরের হাত শক্ত হলো বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে এবার রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবেন কিনা, তা ঠিক করবেন রাজ‍্যের মহিলা ও আদিবাসী ভোটাররা।

2014 সালেও ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছিলেন রঘুবর দাস। যিনি ঝাড়খণ্ডের নয় ছত্রিশগড়ের ঘরের লোক ছিলেন। সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র মোদি শাহের ঘনিষ্ঠ হবার কারণে তিনি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন। তবে এবার রঘুবর দাস পুনরায় ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হবেন কিনা সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যের মহিলা ভোটাররা বলে দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।আগামী 30 শে নভেম্বর থেকে 20 শে ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ দফা বিধানসভা নির্বাচন হবে ঝাড়খণ্ডে। তবে আবারও সেই একই প্রশ্ন উঠে আসছে রাজনৈতিক মহল থেকে, এবারেও কি বিজেপির রঘুবর দাস ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন? নাকি এবার অন্য কেউ আসতে চলেছেন? আর এই উত্তর পাওয়ার জন্য এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নির্ভর করতে হবে মূলত ঝাড়খণ্ডের মহিলা এবং উপজাতি ভোটারদের ওপর।

2015 সালে ঠিক একইভাবে বিহারেও মহিলা ভোটাররা নীতীশ কুমারের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিলেন। এবার সেই একইভাবে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চলেছেন সেখানকার মহিলারা। বিহারে মহিলাদের মন পেতে নিতিশ কুমার মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং মহিলাদের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে 50 শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছিলেন। ফল পেয়েছিলেন হাতে হাতে‌। আর তারপর থেকেই প্রত্যেক সরকারই মহিলাদের গুরুত্ব দিচ্ছে প্রবলভাবে। মহিলাদের নিয়ে বিজেপি প্রথম থেকেই চিন্তাভাবনা চালিয়ে এসেছে। যার ফলস্বরূপ বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী অনেকগুলি মহিলা নির্ভর যোজনার কথা ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে আছে, উজ্জ্বলা যোজনা, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান এবং স্বচ্ছ ভারতের অন্তর্ভুক্ত টয়লেট নির্মাণ। অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস নেতা রাজ্য বিধানসভা ও সংসদে 33% মহিলাদের কোটা রক্ষা করার বার্তা দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঝাড়খন্ডে ভোটার সংখ্যা 2.26 কোটি। তারমধ্যে 1.08 কোটি মহিলা। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ঝাড়খন্ডে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের দাপট অনেক বেশি। আর সে কারণেই মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ঝাড়খন্ডে। নির্বাচনী প্রচারে মহিলাদের উদ্দেশ্যে তৈরি প্রকল্পগুলি বিশেষ ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ভোটারদের অনুপাতে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় মহিলা বেশি। 81 টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় এক চতুর্থাংশ পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোটার বেশি ছিল। অন্যদিকে, তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত 28 টি বিধানসভা আসনে দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা অনেক বেশি। ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে ভাগ্য নির্ণায়কের ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে মহিলারা।

তবে সমগ্র পরিস্থিতি বিচার করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির পাল্লা ভারী। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি যেভাবে মহিলাদের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবে নানান পরিকল্পনা চালু করছে, তাতে বিজেপি যে মহিলা দের মন অবিলম্বে জয় করতে চলেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে সেই ভাবনাকে কাজে লাগাতে যে কোন দলই প্রস্তুতি নেয়। আপাতত ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের পটভূমিকায় কোন রাজনৈতিক দল কি ভূমিকা নিতে চলেছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!