এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > ফেলো কড়ি মাখো তেল! করোনাকালে বেড পাচ্ছেন তাঁরাই যাঁরা মোটা টাকা খসাতে পারবেন? বিতর্ক চরমে

ফেলো কড়ি মাখো তেল! করোনাকালে বেড পাচ্ছেন তাঁরাই যাঁরা মোটা টাকা খসাতে পারবেন? বিতর্ক চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে, কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। করোনা সংক্রমণ কালে যখন হাসপাতালে বেড পেতে, অক্সিজেন পেতে, ওষুধপত্র পেতে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সে সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যথেচ্ছভাবে পকেট কাটছে মানুষের। ভাড়া বাড়াতে বাড়াতে হয়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া।

বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা নেয়া হয়ে থাকে, এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। এরপর এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বর্ধমান শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে। যারা টাকা দিতে পারবেন, তাদেরকেই ভর্তি নেয়া হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে। এই শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠে আসছে।

বর্ধমান শহরে ডাক্তার পাড়া বলা হয় খোসবাগান এলাকাটিকে। এখানে বহু ডাক্তারখানা রয়েছে, রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাথলজি ল্যাব। প্রচুর চিকিৎসক এখানে রয়েছেন। করোনা সংক্রমণকালে খোসবাগান এলাকায় মানুষের আনাগোনা আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুযোগ বুঝে ঝোপ বুঝে কোপ মারছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। বেড ভারা কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিয়েছে কোন কোন হাসপাতাল। তিন-চারগুণ ভাড়া পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আইসিইউ বেড ভাড়া নিতে গেলে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়ে পরিবার-পরিজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন মানুষেরা। বর্ধমানের নবাবহাট এলাকাতে অল্প সময়ের মধ্যে বহু বেসরকারি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, বেশ কিছু হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কালে এই হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হতে গেলে, ওষুধপত্র কিনতে গেলে, অক্সিজেন কিনতে গেলে কয়েকগুন টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। জানা গেছে, এখানকার মেডিকেল কলেজে করোনা রোগীদের জন্য ১৬০ টি বেড রয়েছে।

উপসর্গ থাকার পরেও যদি করোনা আক্রান্ত না হন, এরকম আরো ১৬০ জনকে এখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের জন্য সেফহোম করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও অবস্থা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই শেষ পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা।

ভাতার থানার শিলাকোট গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর নিউমোনিয়া আক্রান্ত বৃদ্ধা মাকে খোসবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। চারদিন সেখানে চিকিৎসা চলেছিল। সাধারণ বেডে ভর্তি থেকে অক্সিজেন, স্যালাইন চলছিল। কিন্তু তাকে ৬০ হাজার টাকার বিল গুনতে হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, বেশ কিছু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানিয়েছেন, অভিযোগ তিনি পেয়েছেন।

দ্রুত বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস প্রণব রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি একাধিক অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু এরপরও পরিস্থিতির তেমন কোন বদল ঘটেনি বলে, অভিযোগ উঠে আসছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!