ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ টিকাকরণ, কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষারোপ রাজ্যের! রাজ্য August 9, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই কো- ভ্যাকসিন নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। সঠিক পরিমাণে জোগান না থাকার কারণে টিকাকরণ বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সামনে এসেছিল। আর এবার কোভিশিল্ডের টিকা নিয়ে তৈরি হল সমস্যা। যেখানে আজ সোমবার কলকাতা পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষদের কপালে। যখন সরকারের পক্ষ থেকে বারবার করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ করিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে জনসাধারণকে, তখন টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মাঝেমধ্যেই হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এক্ষেত্রে বারবার কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দড়ি টানাটানি সামনে এসেছে। আর এবার কলকাতা পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোভিশিল্ডের মতো করোনা ভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ টিকা নাও পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। সূত্রের খবর, কলকাতা পৌরসভার বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ডের পর্যাপ্ত টিকা নেই। তাই দ্রুত যদি সেই টিকা না আসে, তাহলে অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই যারা কোভিশিল্ডের জন্য লাইনে দাঁড়াবেন, তারা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। তাই এই পরিস্থিতিতে চিন্তার মুখে পড়ে গিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। দ্রুত যদি এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না হয়, তাহলে টিকাকরণের দিক থেকে আবার গোটা শহর পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে গোটা বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভ্যাকসিন কিনতে চাইলে তা দেয়নি। এখনও দিচ্ছে না। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ এক লক্ষের উপর পাওনা রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নিয়েছেন। এবার তাহলে প্রধানমন্ত্রী সেটা পাঠিয়ে দিন আমাদের।” একাংশের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কি হবে? সরকার থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত টিকাকরণ করতে। কিন্তু সেই টিকার যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে কিভাবে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে, এখন এটাই বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -