এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের বিদ্রোহী আর এক বিধায়ক, তৃণমূলের মাথাব্যথা ক্রমশ বাড়ছে

ফের বিদ্রোহী আর এক বিধায়ক, তৃণমূলের মাথাব্যথা ক্রমশ বাড়ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একের পর এক বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিদ্রোহ পোষন করতে শুরু করেছেন। দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন কোচবিহারের মিহির গোস্বামী। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের টিমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর সব থেকে বেশি যাকে নিয়ে জল্পনা চলছে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দুবাবু দলের সঙ্গে দূরত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে যখন তৃণমূলের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা, ঠিক তখনই এবার দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন হরিহারপাড়া তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কাছে আরও চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হঠাৎ করে কেন এই তৃণমূল বিধায়ক জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হলেন? সূত্রের খবর, রবিবার বহরমপুরের কাটাবাগানে তৃনমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় হরিহারপাড়া তৃণমূল বিধায়ককে। জেলা সভাপতি আবু তাহেরের উদ্দেশ্যে এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “রানীনগর, সামশেরগঞ্জে খুন হলেন না। সেখানে আপনি গেলেন না। মানুষের পাশে থাকলেন না! ভোটাররা আমাদের ভোট দিয়েছেন। আর বিপদের সময় তারা নেতাদের পাশে পাচ্ছেন না‌। ভোট দিয়ে কি তারা অন্যায় করেছেন! এলাকায় গিয়ে কেন আপনি জনগণের সমস্যা মেটালেন না!”

স্বাভাবিকভাবেই দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একজন বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল বিধায়ক যদি জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন, তাহলে তা যে বিরোধীদের কাছে প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে কিভাবে তৃণমূল তাদের ঐক্য স্থাপন করবে! লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী কালে তৃণমূলের ঐক্য ঠিক করবার জন্য দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে আনা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও সেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের একাধিক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন জেলার তৃণমূল বিধায়কদের বিদ্রোহ পোষণ করতে দেখা গেছে। আর এবার দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভায় সরব হতে দেখা গেল হরিহারপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখকে।

এদিকে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, তা তার মন্তব্যেই পরিষ্কার। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “নিশ্চয়ই ওনার মধ্যে কোনো জ্বালা রয়েছে। তবে কোনো ক্ষোভ থাকলে দলের অভ্যন্তরে বলতে পারতেন। কারও মুখে তো আর লাগাম দেওয়া যায় না।”

স্বভাবতই হেভিওয়েট বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে, তা কার্যত পরিষ্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলের বিধায়কের এই ক্ষোভ প্রশমিত করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!