প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবার বিপাকে পড়তে চলেছেন শাসকদল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছর বিমানবন্দরে সোনা কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলার। তবে, সেসময় তাঁকে পাঠানো শুল্ক দফতরের সমন পরবর্তীতে খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সমন খারিজ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলো শুল্ক দপ্তর। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী রুজিরা নারুলা।

প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একের পর এক সমস্যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বাড়ছে দলে গোষ্ঠীকোন্দল, যা মেটাতে ঘুম উড়ছে তৃণমূলের। তার উপরে, দলে ভোট কুশলী পিকের বাড়বাড়ন্ত মেনে নিতে পারছেন না দলের অনেক হেভিওয়েট। সেইসঙ্গে, দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমশ প্রভাব বৃদ্ধিও বাঁকা চোখে দেখছেন অনেকে। এ কারণেই দলে ক্রমশ বাড়ছে ক্ষুব্ধ বিধায়কের সংখ্যা। যাদের নামের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে ক্রমশ। এদিকে বিরোধী দল নেতাদের নামে সরাসরি বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে আবারো বিপাকে পড়তে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে বিমানে করে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা ফেরার সময় দমদম বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী রুজিরা নারুলার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সোনা আনার অভিযোগ করেছিল শুল্ক দফতর। সেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী রুজিরা নারুলার সঙ্গে সেস্থলে উপস্থিত ছিলেন তার বোন মেনকা গম্ভীর। দুজনকেই হাজিরার জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল। এয়ারপোর্ট থানায় দায়ের করা ছিল লিখিত অভিযোগ ২২ সে মার্চ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল ২৬ সে মার্চ শুল্কদপ্তর।

শেষ পর্যন্ত, তাঁকে পাঠানো শুল্ক দফতরের এই সমন খারিজ করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি। সমন খারিজ হয়ে যাবার পর অনেকটাই শান্তি পেয়েছিলেন রুজিরা নারুলা। তবে, এবার আবার পুরনো মামলা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চলেছে। যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বাড়িয়ে দিতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথা তৃণমূলের অস্বস্তি যথেষ্টভাবে। এমনটাই মনে করছেন হাইকোর্টের বেশকিছু আইনজীবী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন যে, সোনা কান্ড যদি আবার মাথাচাড়া দেয়, তবে যথেষ্ট সমস্যা বাড়বে শাসকদল তৃণমূলের।